বাক্য-সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ
বাক্য-সংকোচন
বক্তব্যকে সুন্দর ও মধুর করে প্রকাশের উদ্দেশ্যে বাক্যাংশ কিংবা বাক্যকে প্রয়োজন মতো সংকোচন করে নেওয়া হয়। ব্যাক্যাংশই হোক বা বাক্যই হোক সাধারণত বহুপদের সমষ্টি। বহুপদকে একপদে পরিণত করার মধ্য দিয়ে বাক্যাংশের বা বাক্যের সংকোচন কাজ চলে। একেই বলা হয় বাক্য-সংকোচন, নামান্তরে একপদীকরণ বা বাক্সংহতি। সাধারণভাবে কৃৎ বা তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে বা সমাস-নিষ্পন্নের দ্বারা কিংবা ভিন্ন শব্দ প্রয়োগ করে বাক্য-সংকোচনের প্রক্রিয়া চলে।
ক) কৃৎ-প্রত্যয় যোগে-
১. পালন করে যে-পালক (পালি+অক)।
২. পানের যোগ্য-পানীয় (পা+ অনীয়)।
৩. যা বৃদ্ধি পাচ্ছে-বর্ধিষ্ণু (বৃধ্+ ইষ্ণু)।
৪. যা বার বার দুলছে-দোদুল্যমান (দুল+ যঙ্ + শানচ্)।
খ) তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে-
১. তিল থেকে জাত-তৈল (তিল +ষ্ণ)।
২. গঙ্গার পুত্র-গাঙ্গেয় (গঙ্গা +ষ্ণেয়)।
৩. বেনারসে তৈরি - বেনারসী (বেনারস + ঈ)।
গ) সমাস-নিষ্পন্ন হয়ে-
১. রাজার অনুসৃত নীতি-রাজনীতি (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)।
২. শূল পাণিতে যাঁর - শূলপাণি (বহুব্রীহি)।
৩. অন্য যুগ-যুগান্তর (নিত্যসমাস)।
ঘ) ভিন্ন শব্দ প্রয়োগে-
১. যে ধুয়া ধরে- দোয়ার।
২. অলংকারের ধ্বনি- শিঞ্জন।
৩. গ্রন্থাদির অধ্যায়- স্কন্দ।
উপরের চার পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন বাক্য-সংকোচন বা একপদীকরণের দৃষ্টান্ত—
অ
- অধ্যয়নের বিরতি-অনধ্যায়।
- অতিশয় ভোজন-অত্যশন।
- অল্প কথা বলে যে-অল্পভাষী।
- অনুসন্ধানের ইচ্ছা অনুসন্ধিৎসা।
- অভ্রকে লেহন করে যে-অভ্রংলিহ।
- অনুকরণ করার ইচ্ছা-অনুচিকীর্ষা।
- অনুকরণ করতে ইচ্ছুক - অনুচিকীর্ষু।
- অতিক্রমের যোগ্য-অতিক্রমণীয়।
- অতিক্রম করা যায় না যা-অনতিক্রম্য, অনতিক্রমণীয়।
- অমৃতের মতো হচ্ছে- অমৃতায়মাণ।
- অঙ্গুলি দ্বারা গণনা করা যায় - অঙ্গুলিগণ্য।
- অতিশয় ইচ্ছুক-অতীচ্ছ।
- অগ্রে গমন করে যে-অগ্রগামী।
- অতিক্রম করে গমনকারী - অতিগ।
- অরিকে জয় করেছে যে-অরিজিৎ।
- অন্য কোনো গতি নেই যার-অনন্যগতি।
- অন্যদিকে মুখ যার - অনামুখো।
- অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে যে কাজ করে-অবিমৃষ্যকারী।
- অধ্যাপনা করেন যিনি - অধ্যাপক। [Professor]
- অন্যদিকে মন নেই যার-অনন্যমনা।
- অনায়াসে যা লাভ করা যায়-অনায়াসলভ্য।
- অন্য উপায় নেই যার-অনন্যোপায়।
- আদি নেই যার-অনাদি।
- অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ-অতিসার, অতীসার।
- অন্নভোগ করে প্রাণ ধারণকারী -অন্নগত-প্রাণ।
- বাতাসের অনুকূলে-অনুবাত।
- অপে জন্ম যার-অপজ।
- অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয় না এমন নারী-অনন্যা।
- অন্ত নাই যার-অনন্ত।
- অভিনয় করে যে-অভিনেতা।
- অন্য গতি নেই যার-অগত্যা।
- অপরের গুণে দোষারোপকারী -অসূয়ক।
- অগ্নি উৎপাদনের কাঠ - অরণি।
- অন্তর্গত অপ যার-অন্তরীপ।
- অন্য দিকে মন যার-অন্যমনা, অন্যমনস্ক।
- অরিকে দমন করেন যিনি-অরিন্দম।
- অন্য ভাষায় অনুবাদ-অনুদিত।
- অন্ত আছে যার-আন্ত।
- অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা - অণুবীক্ষণ।
- অণুর ভাব-অণিমা।
- অস্ত যাচ্ছে-অস্তায়মান।
- অপকার করার ইচ্ছা-অপচিকীর্ষা।
- অপত্য থেকে বিশেষ না করে-অপত্যনির্বিশেষ।
- অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী - আনুপূর্বিক।
- অর্থনীতি সম্বন্ধীয়-অর্থনৈতিক, আর্থিক।
- অর্জুনের পুত্র-আর্জুনি।
- অতি মনোহর গন্ধ-আমোদ।
- অণু সম্বন্ধীয়-আণবিক।
- অরুণের পুত্র -আরুণি।
- অতর্কিত অবস্থায় হত্যাকারী বা আক্রমণকারী- আততায়ী।
- অন্য মনু—মন্বন্তর।
- অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে—উন্নাসিক।
- অন্য নামে—ওরফে।
- অন্যকে দিয়ে যে কাজ করায়—কারয়িতা।
- অকস্মাৎ ধৃত—কাকতালীয়।
- অল্পকাল স্থায়িত্ব যার—ক্ষণভঙ্গুর।
- অতীতের বিষয়ের জন্য শোক প্রকাশ—গতানুশোচনা।
- অশ্বাদির নাসিকা—ঘোনা।
- অশ্ব, হস্তী, রথ, পদাতিক এই চার শ্রেণির সেনাবাহিনী— চতুরঙ্গ।
- অসির শব্দ—ঝঞ্ঝনা।
- অতি উচ্চ স্বর—তারস্বর।
- অপরের দুঃখে যে দুঃখিত হয়—দরদি।
- অতিকষ্টে যা নিবারণ করা যায় — দুর্নিবার।
- অর্থহীন উক্তি—প্রলাপ।
- অপূর্ব সৃষ্টিশীল ক্ষমতা—প্রতিভা।
- অশ্ব রাখার স্থান —আস্তাবল / মন্দুরা
- অতিশয় রমণীয়-সুরম্য।
- অত্যন্ত প্রফুল্ল - উৎফুল্ল।
- অত্যন্ত শৌখিন লোক-ফুলবাবু।
- অনুচিত বল প্রয়োগকারী - হঠকারী।
- অন্য লোক-লোকান্তর।
- অন্য যুগ-যুগান্তর।
- অন্য জন্ম-জন্মান্তর।
- অন্য কাল-কালান্তর।
- অন্যের অজ্ঞাতসারে -বেমালুম।
- অন্যায় গোঁড়ামিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান-অচলায়তন।
- অভিনয়ের উপযোগী দৃশ্যকাব্য-নাটক।
- অহনের অপর অংশ - অপরাহ্ণ।
- অহনের মধ্য অংশ-মধ্যাহ্ন।
- অদিতির পুত্র -আদিত্য।
- অনভিজ্ঞের অভিজ্ঞ আচরণ-অকালপক্কতা।
- অবিবাহিত ব্যক্তি-অকৃতদার, অনুঢ়।
- অজগরের মতো শ্রমে অনীহা -অজগরব্রত।
- অধিক উক্তি-অত্যুক্তি।
- অন্য সহায় নেই যার-অনন্যসহায়।
- অনুগ্রহ করার বাসনা -অনুজিবৃক্ষা।
- অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি - ধুরন্ধর।
- অর্ধেক সম্মত-নিমরাজি।
- অত্রিমুনির পত্নী-আত্রেয়ী।
- অনেকের ভিতর এক-একতম।
- অঙ্গের সঙ্গে বর্তমান-স্বাঙ্গ।
- অন্য কোনো কর্ম নেই যার-অনন্যকর্মা।
- অন্য গতি-গত্যন্তর।
- অদূর ভবিষ্যতে যা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই-সুদূরপরাহত।
- অর্জুনের ধনু-গাণ্ডীব।
- অতি উচ্চ স্বর-তারস্বর।
আ
- আত্মাকে অধিকার করে- অধ্যাত্ম।
- আলোকের অভেদ্য-অনচ্ছ।
- আরাধনার যোগ্য যিনি-আরাধ্য।
- আট মাসে জন্মেছে যে-আটাশে।
- আতপ চাউল- আমান্ন।
- আরম্ভ হচ্ছে-আরভ্যমান।
- আয়ুর হিতকর-আয়ুষয্য।
- আপনাকে ভুলে থাকে যে-আত্মভোলা।
- আকাশ মাধ্যমে আগত বাণী-আকাশবাণী।
- আরোহণ করে যে- আরোহী।
- আদরের যোগ্য যা-আদরণীয়।
- আসছে যে-আগত।
- আশীতে (দাঁতে) বিষ যার - আশীবিষ।
- আসবে যে-আগামী।
- আতপ থেকে ত্রাণ করে যে-আতপত্র।
- আকৃষ্ট হচ্ছে যে-আকৃষ্যমাণ।
- আলাপ করতে যে তৎপর -আলাপী।
- আচার্যের সদৃশ – উপাচার্য।
- আইনবিরোধী কাজ - বেআইনি।
- আকাশ ও পৃথিবী/রোরুদ্যমানা নারী-ক্রন্দসী/রোদসী।
- আহারের দ্বারা ক্ষুধার নিবৃত্তি - ক্ষুন্নিবৃত্তি।
- আকাশে চরে যে-খেচর।
- আধিদৈবিক, আধিভৌতিক ও আধ্যাত্মিক যন্ত্রণা - ত্রিতাপ।
- আজীবন অবিবাহিত আছে যে- চিরকুমার।
- আস্বাদ গ্রহণ করে যে-চাকনদার।
- আকারে ইঙ্গিতে -ঠারেঠোরে।
- আঘাতের বিপরীত-প্রত্যাঘাত, প্রতিঘাত।
- আজ্ঞা যে বহন করে- আজ্ঞাবহ।
- আকাশের রং- আকাশী।
- আগামীকালের পরের দিন -পরশু, পরশ্ব।
- আদি নেই যার-অনাদি।
- আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে পরিধেয় - ছদ্মবেশ।
- আজীবন সধবা যে নারী-চিরায়ুষ্মতী।
- আভিধানিক অর্থ ছাড়া অন্য অর্থের দ্যোতনা-ব্যঞ্জনা।
- আকালের বছর-দুর্বছর।
- আকাশে যে বিচরণ করে- নভশ্চর, নভোচারী।
- আহবান করা হয়েছে যাকে-আহূত।
- আজন্ম শত্রু-জাতশত্রু।
- আমৃত্যু যুদ্ধ করে যে-সংশপ্তক।
- আঙুল দিয়ে মাপা যায় এমন - অঙ্গুলিমেয়।
- আবক্ষ জলে নেমে স্নান-অবগাহন।
- আনন্দের যোগ্য-নন্দ্য।
- আদব-কায়দা যে জানে না-বেয়াদব।
- আদব-কায়দায় চৌকশ অথচ নিষ্কর্মা- লেফাফাদুরস্ত।
- আহবান করা হচ্ছে- হুয়মান।
- আগুনের ফুলকি - স্ফুলিঙ্গ।
- আত্মহারা অবস্থা-তুরীয়।
- আবেগজড়িত কণ্ঠস্বর-গদগদ।
- আদর পাচ্ছে যে- আদ্রিয়মাণ।
- আড় চোখে চাউনি - কটাক্ষ।
- আক্কেল যার নেই-বে-আক্কেল।
- আকারের সঙ্গে বিদ্যমান-সাকার।
- আকস্মিক দুর্দৈব - উপদ্রব।
- আঙুর ফল- দ্রাক্ষা।
- আরোহণ করেছে-আবুঢ়।
- আমিষ খান যিনি-আমিষাশী।
- আমিষ খান না যিনি-নিরামিষাশী।
- আশা ভঙ্গজনিত খেদ-বিষাদ।
- আলস্য নেই যার- নিরলস।
- আয়নায় দেখা মূর্তি-প্রতিবিম্ব।
- আমার সদৃশ-মাদৃশ।
- আলোকের অভেদ্য-অনচ্ছ।
- আরাধনার যোগ্য যিনি - আরাধ্য।
- আকাশ চুম্বন করে যা-আকাশচুম্বী।
- আকাশ স্পর্শ করে যা- আকাশস্পর্শী।
- আদরিণী কন্যা-দুলারি, দুলালি।
ই
- ইন্দ্রকে জয় করে যে-ইন্দ্রজিৎ।
- ইষ্টদেবতার নামকীর্তন - নামগান।
- ইতিহাস জানেন যিনি - ঐতিহাসিক।
- ইহলোক বিষয়ক-ঐহিক।
- ইন্দ্রের অশ্ব - উচ্চৈঃশ্রবা।
- ইচ্ছার অধীন- ঐচ্ছিক।
- ইন্দ্রজাল জানেন যিনি-ঐন্দ্রজালিক, সৌভিক।
- ইতর মুনির পুত্র-ঐতরেয়।
- ইউরোপ সম্বন্ধীয় - ইউরোপীয়।
- ইতস্তত ভ্রমণ - বিচরণ, প্রসর।
- ইন্দ্রের পত্নী-ইন্দ্রাণী।
- ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যে-জিতেন্দ্রিয়।
- ইষ্টক নির্মিত গৃহ-প্রাসাদ।
- ইসলামী শাস্ত্র অনুযায়ী নির্দেশ - ফতোয়া।
- ইহলোকে সামান্য নয়-অলোকসামান্য।
- ইহার তুল্য - ঈদৃশ।
- ইন্দ্রিয়ের দাবি পূরণে তৎপর - ইন্দ্রিয়পরবশ।
- ইতিপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি-দাগী।
- ইসলামে অবিশ্বাসী-কাফের।
- ইন্দ্রের সারথি - মাতলি।
- ইন্দ্রের বাগান-নন্দন।
- ইন্দ্রজিতের স্ত্রী-প্রমীলা।
- ইন্দ্রের পুরী - বৈজয়ন্ত।
- ইহলোকের পরবর্তী লোক-পরলোক।
- ইক্ষুরস জাত মদ্য-শীধু।
- ইক্ষু বিষয়ক- ঐক্ষর।
ঈ
- ঈষৎ নীলাভ বিশিষ্ট — আনীল।
- ঈষৎ চঞ্চল — আলোল।
- ঈষৎ রক্তবর্ণ — আরক্ত।
- ঈষৎ পীত বর্ণ — আপীত।
- ঈশ্বরে বিশ্বাস করে যারা — আস্তিক।
- ঈশ্বরের ভাব — ঐশ্বর্য।
- ঈশ্বর বিষয়ক — ঐশ্বরিক।
- ঈশান কোণ — ঐশানী।
- ঈষৎ কৃষ্ণ — কালচে।
- ঈষৎ পাণ্ডুবর্ণ — ধূসর।
- ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই যার — নাস্তিক।
- ঈষৎ নীলবর্ণ — নীলাভ।
- ঈষৎ বক্র — বঙ্কিম।
- ঈষৎ পাগলামি যার — পাগলাটে।
- ঈষৎ উন্ন — কবোয়।
- ঈষৎ হাস্য — স্মিত।
- ঈষৎ কম্পিত — আধুত।
- ঈষৎ মধুর — আমধুর।
- ঈশ্বরের জন্যে ব্যাকুল সাধক — গায়ক- বাউল।
- ঈষৎ পাকা — দরপাকা।
- ঈষৎ কাঁচা — দরকাঁচা।
- ঈশান কোণে অবস্থিত দিগজ — সুপ্রতীক।
- ঈষৎ পাংশু বর্ণ — কয়রা।
উ
- উপকারীর উপকার যে স্বীকার করে না — অকৃতজ্ঞ।
- উচ্চ হাস্যকারী — অট্টহাসক।
- উচ্ছিষ্ট নয় — অনুচ্ছিষ্ট।
- উচ্চবর্ণজাত পুরুষের সঙ্গে নিম্নবর্ণজাত মহিলার বিবাহ — অনুলোম।
- উলু উলু ধ্বনি — অলোলিকা।
- উপেক্ষার যোগ্য — উপেক্ষণীয়।
- উচ্চ ললাটবিশিষ্ট — উল্ফপালী।
- উত্তর দিক সম্পর্কিত — উদীচ্য।
- উপেক্ষিত শস্যকণায় জীবনধারণ — উবৃত্তি।
- উচ্চারিত হচ্ছে যা — উচ্চার্যমান।
- উপকার করার ইচ্ছা — উপচিকীর্ষা।
- উদ্গিরণ করা হয়েছে এমন — উদ্গীর্ণ।
- উদক পানের ইচ্ছা — উদন্যা।
- উল্লেখ করা হয় না যা — উহ্য।
- উচ্চ হয়ে ওঠা — ওচান।
- উপন্যাস রচয়িতা — ঔপন্যাসিক।
- উপমন্যুর পুত্র —ঔপমন্যব।
- উপনিষদ সম্বন্ধীয় — ঔপনিষদ।
- উদর সম্পর্কিত — ঔদরিক।
- উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে — কৃতজ্ঞ।
- উপকারীর অপকার করে যে — কৃতঘ্ন।
- উচ্চৈঃস্বরে কথন — ঘোষণা।
- উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ধন — রিক্স।
- উদরান্নের জন্যে যে খাটে — পেটভাতা।
- উদিত হচ্ছে যা — উদীয়মান।
- উদগ্র লোভে চঞ্চল — লোলুপ।
- উদিত হয় না যা — অনুদিত।
- উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষমতা — প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
- উটের/হস্তীর শাবক — করভ।
- উচ্চ শব্দ — নির্ঘোষ।
- উদ্দাম নৃত্য — তাণ্ডব।
- উড়ি ধান — নীবার।
- উপযুক্ত বয়স হয়েছে যার — সাবালক, প্রাপ্তবয়স্ক।
- উচিত নয় — অনুচিত।
- উচ্চজাতিতে জন্মের জন্য অভিমান — জাত্যভিমান।
- উচ্চৈঃস্বরে গীতকারী — উদ্গাতা।
- উপায় নেই যার — নিরুপায়।
- উভয় তীর আছে যার — পারাবার।
- উপাসনার যোগ্য — উপাস্য।
- উড়ে যাচ্ছে যা — উড্ডীয়মান, উড়ন্ত।
- উর্বর নয় — ঊষর।
- উপস্থিত আছে যা — বর্তমান।
- উত্তপ্ত করা হয়েছে — উত্তাপিত।
- উৎসবের জন্যে নির্মিত গৃহ — মণ্ডপ।
- উত্তম ফল যার — সুফলা।
- উত্তর দিক থেকে আগত— উত্তুরে।
- উদরান্নের জন্যে দাস — অন্নদাস।
- উৎকৃষ্ট কিছু নেই যার চেয়ে — অনুত্তম।
- উত্তম পুরুষ — সুপুরুষ।
- উত্তমা নারী — শিখরিণী।
- উয়তা মাপার যন্ত্র — তাপমান।
- উদ্ভিদের নতুন পাতা — পল্লব, কিশলয়।
- উপরতলার ঘর — বালাখানা।
- উচিতের অভাব — আনৌচিত্য।
- উদারতার অভাব — অনৌদার্য।
- ঊর্ধ্বদিকে গমন করে যে — ঊর্ধ্বগামী।
- ঊর্ণা নাভিতে যার — ঊর্ণনাভ।
- ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা — অবতরণ।
- ঊর্ধ্বদিকে গতি যার — ঊর্ধ্বগতি।
- ঊর্ধ্বমুখে সাঁতার — চিৎসাঁতার।
- উর্মিলার পুত্র — ঔর্মিলেয়।
অপত্য অর্থে)———
- মনুর পুত্র-মানব।
- জহ্নুর কন্যা-জাহ্নবী।
- ভৃগুর পুত্র-ভার্গব।
- চণকের অপত্য-চাণক্য।
- জমদগ্নির সন্তান-জামদগ্ন্য।
- যজ্ঞবন্ধের অপত্য-যাজ্ঞবন্ধ্য।
- গঙ্গার পুত্র-গাঙ্গেয়।
- রাবণের পুত্র-রাবণি।
- দশরথের পুত্র-দাশরথি।
- অরুণের পুত্র-আরুণি।
- দক্ষের অপত্য-দাক্ষায়ণ।
- কুস্তির পূত্র-কৌন্তেয়।
- নিকষার পুত্র-নৈকষেয়।
- দনুর পুত্র-দানব।
- পৃথার পুত্র-পার্থ।
- রঘুর সন্তান-রাঘব।
- সুমিত্রার পুত্র-সৌমিত্রি।
- জনকের কন্যা-জানকী।
- দিতির পুত্র-দৈত্য।
- অদিতির সন্তান-আদিত্য।
ঋ
- ঋণ নেই যার-অঋণী।
- ঋষির দ্বারা কথিত-আর্য।
- ঋতুর সম্বন্ধে-আর্তব।
- ঋতুতে ঋতুতে যজন করেন যিনি-ঋত্বিক
- ঋষির ন্যায় - ঋষিকল্প।
- ঋণগ্রস্ত অবস্থা - ঋণিতা।
- ঋণ দেয় যে-উত্তমর্ণ।
- ঋণ নেয় যে-অধমর্ণ।
- ঋজুর ভাব-আর্জব।
- ঋষির তুল্য - ঋষিতুল্য।
- ঋদ্ধিযুক্ত ব্যক্তি - ঋদ্ধিমান।
- ঋণশোধে অসমর্থ-দেউলিয়া।
এ
- পর্যন্ত যার শত্রু জন্মায়নি – অজাতশত্রু।
- এর পর -অতঃপর।
- এক থেকে আরম্ভ করে-একাদিক্রমে।
- এক যুক্তিতে বা এক উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ-এককাট্টা।
- একই কর্মে পরস্পর লিপ্ত - একক্রিয়।
- একবার মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে যাতে- একমেটে।
- এক মতের ভাব-ঐকমত্য।
- এক তানবিশিষ্ট - ঐকতান।
- একনর চন্দ্রহার-কাঞ্চী।
- একান্ত অনুগত বা ভক্ত- নেওটা।
- একের পরিবর্তে অনেক-বিকল্প।
- একের পরিবর্তে অপরের সই- বকলম।
- এক ভাষার মধ্যে অন্য ভাষার প্রয়োগ- বকুনি।
- একান্ত বিশ্বাসের যোগ্য-বিশ্রদ্ধ।
- এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায় যে- যাযাবর।
- একই সময়ে - যুগপৎ।
- এক উদর থেকে একসঙ্গে দুজনের জন্ম - যমজ, যমল।
- একবার শুনলে যার মনে থাকে-শ্রুতিধর।
- একই কালে বর্তমান-সমকালীন।
- একবারমাত্র গর্ভধারণ করেছেন এমন নারী -সকৃৎগর্ভা।
- একই সময়ে বর্তমান-সমসাময়িক।
- একই স্থানে থাকে যে-স্থাণু।
- একই গুরুর শিষ্য-সতীর্থ।
- এক তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র - একতারা, গোপীযন্ত্র।
- একবার দান করে যে ফিরিয়ে নেয়-দত্তহারী, দত্তাপহারী।
- এণ বা হরিণের মতো অক্ষি - এণাক্ষী।
- এক পঙ্ক্তিতে ভোজনের যোগ্য নয়-অপাঞ্জেয়।
- এক কোষ জল-গণ্ডুষ।একান্ত গোপন-নিগুঢ়।
- একই মায়ের সন্তান-সহোদর, সোদর।
- একই পতি যাদের-সপত্নী।
- একদিকে দৃষ্টি যার - একচোখা।
- এক ধর্ম যার-সধর্মী।
- এক গোঁ যার - একগুঁয়ে।
- এসেছেন যিনি-আগন্তুক।
- একই অর্থের শব্দ-প্রতিশব্দ।
- একত্র আগত - সমাগত।
- একদিনের পথ-মঞ্জিল।
- এক স্থানে স্থিত-একত্র।
- একসঙ্গে বসবাস-সহবাস
- একাগ্রভাবে মনোযোগ-অভিনিবেশ।
- একই পরিবারের ব্যক্তি-পরিজন।
- এঁটেল ও বেলেমাটির মিশ্রণ-দোআঁশ।
- একটুতেই ক্রুদ্ধ হয় যে-কোপন-স্বভাব, বদরাগী, রগচটা।
ঐ
- ঐক্যের অভাব আছে যাতে-অনৈক্য।
- ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি-ঐশ্বর্যবান, ভগবান।
- ওষ্ঠ ও অধর-ওষ্ঠাধর।
- ওষ্ঠের দ্বারা উচ্চারিত-ঔষ্ঠ্য।
- ওজন করা হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে- তুলাদণ্ড।
- ওষধি থেকে উৎপন্ন- ঔষধ।
- ঔষধের বিপণি - ঔষধালয়।
- ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য-অনুপান।
ক
- কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথি—অমাবস্যা।
- কথায় যা প্রকাশ করা যায় না—অনির্বচনীয়।
- কহা বা বলা উচিত নয় যা—অকথ্য, অবক্তব্য, অবাচ্য।
- কর্ম করার শক্তি যার নেই—অকর্মণ্য।
- কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ— অধঃকায়।
- কেউ যা জানে না—অজ্ঞাত, অজানা।
- কুল শীল জানা নেই যার — অজ্ঞাতকুলশীল।
- কাম ক্রোধ লোভাদির বশীভূত—অজিতেন্দ্রিয়।
- কখনও যা চিন্তা করা যায় না—অচিন্ত্য, অচিন্তনীয়।
- কাপট্য জানে না যে—অকপট।
- কথা যে বলতে পারে না—অবলা।
- কোনো কিছুতে ভয় নেই যার — অকুতোভয়।
- কণ্ঠ পর্যন্ত—আকণ্ঠ।
- কর্ণ পর্যন্ত—আকর্ণ।
- কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত — আকর্ণবিস্তৃত।
- কোথাও উঁচু কোথাও বা নীচু—উচ্চাবচ, বন্ধুর।
- কপালের লম্বা ফোঁটা — ঊর্ধ্বপুণ্ড্র।
- কলাজ্ঞান আছে যার — কলাবিদ।
- কলকাতায় উৎপন্ন — কলকাতাই।
- কষায় বর্ণে রঞ্জিত—কাষায়।
- কার্য যার সফল হয়েছে—কৃতকার্য।
- কাঠের নির্মিত — কাঠরা, কেঠো।
- ক্রমে যা বেড়ে চলেছে— ক্রমবর্ধমান।
- ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে যা— ক্ষয়িষু, ক্ষীয়মাণ।
- কি করতে হবে যে স্থির করতে পারে না— কিংকর্তব্যবিমূঢ়
- কন্যাকালে জাত—কানীন।
- কানের পাশে লম্বিত কেশগুচ্ছ—কাকপক্ষ।
- কৃত্তি বাস (পোশাক) যার—কৃত্তিবাস।
- কান ভাঙিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করে যে (স্ত্রী)—কোটনা, কুটনী।
- কুন্তীর পুত্র—কৌন্তেয়।
- কুরুর পুত্র—কৌরব।
- কুৎসিত আকার যার— কদাকার।
- ক্লেশ ভোগ করে যে—ক্লিশ্যমান।
- কুৎসিত আহার —কদাহার।
- কুৎসিত অন্ন — কদন্ন।
- কশ্যপের অপত্য — কাশ্যপ।
- কর্কশ ধ্বনি — ক্লেঙ্কার।
- কটকে উৎপন্ন — কটকী।
- কৃষি মাতা যে দেশের — কৃষিমাতা।
- কাক (বক্স) গামী উদর যার — কাকোদর।
- কৃষকের পত্নী — কৃষাণী।
- কৃষ্ণবর্ণ হরিণ — কালসার।
- কালে যা ঘটে — কালীন।
- করুণা আছে যার — কারুণিক।
- ক্ষণস্থায়ী প্রভা যার — ক্ষণপ্রভা।
- ক্ষুদ্র কাষ্ঠখণ্ড — কণ্ঠিকা।
- কৃষ্ণবর্ণ মেঘ — কালমেঘ।
- ক্লেশ অপহরণ করে যা — ক্লেশাপহ।
- কুসুম ধনু যার — কুসুমধন্বা।
- কপোতের ন্যায় আচরণ/সঞ্চয়বিহীন জীবিকা — কপোতবৃত্তি।
- কুষ্ঠ নাশ করে যা — কুষ্ঠঘ্ন।
- কুম্ভ করে যে — কুম্ভকার।
- কলম রাখার পাত্র — কলমদান।
- কাগজে তৈরি — কাগজী, কাগুজে।
- কর দেয় যে — করদ।
- কৃষ্ণের ন্যায় কমনীয় — কৃষ্ণকান্ত।
- কৃষি থেকে উৎপন্ন — কৃষিজ।
- কেশ সম্বন্ধীয় — কৈশিক।
- কোনো লেখনের ছেঁড়া অংশ — কুপন।
- ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য — ক্ষমার্হ।
- ক্ষতিপূরণের জন্য প্রদত্ত অর্থাদি — খেসারত।
- করার ইচ্ছা — চিকীর্ষা।
- করতে ইচ্ছুক — চিকীর্ষু।
- ক্রীড়নশীল তরঙ্গ — চলোর্মি।
- ক্ষিতি, জল, তেল ও বায়ু থেকে সঞ্জাত — চতুভৌতিক।
- কাজ চালানোর উপযুক্ত — চলনসই।
- ক্ষমা করার ইচ্ছা — তিতিক্ষা, চিক্ষমিষা।
- ক্ষমা করতে ইচ্ছুক — তিতিক্ষু।
- কন্যার পুত্র—দৌহিত্র।
- কারো অপেক্ষা রাখে না যে — নিরপেক্ষ।
- কিছুতেই ছাড়ে না যে — নাছোড়বান্দা।
- কুকুরের ডাক — বুক্কন।
- কোনো বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে — বীতশ্রদ্ধ।
- কামনা দূর হয়েছে যার — বীতকাম।
- কটিদেশের বস্ত্র, অলংকার প্রভৃতি —মেখলা।
- কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ — রত্নি।
- কপালে আঁকা তিলক — রসকলি।
- কচি তৃণাবৃত ভূমি — শাদ্বল।
- কষ্ট সহ্য করে যে — সহিমু।
- অল্পকাল স্থায়িত্ব — ক্ষণভঙ্গুর।
- কানে কানে যে কথা — কানাকানি।
- কূলের বিপরীত—প্রতিকূল।
- কাচের তৈরি ঘর— শিশমহল।
- কল্পনার দ্বারা রচিত মূর্তি — ভাবমূর্তি।
- কাজে সাহায্য করে যে — সহকারী।
- কাজের শুরুতে আল্লার নামে দোহাই — বিসমিল্লা।
- কালো-হলুদে মিশানো রং — কপিশ, কপিল।
- কীর্তির মধ্যে বসতি যার — কীর্তিবাস।
- কৃতকর্মের ফল — প্রতিফল।
- কুস্তিতে দক্ষ যে — কুস্তিগীর।
- কুলের বাইরের যে বধূ — বারবধূ।
- কুবেরের ধন রক্ষক — যক্ষ।
- কেনার আগে দামের যে অংশ দেওয়া হয় — বায়না, আগাম।
- ক্রম রক্ষা না করে এলোমেলো — হ-য-ব-র-ল।
- কেনা জিনিসের মূল্যাংশের ছাড় — দস্তুরি, দালালি।
- ক্ষুধার অল্পতা — অগ্নিমান্দ্য।
- কথা দিয়ে যিনি কথা রাখেন — বাক্রিষ্ঠ।
- ক্রিয়ার বিপরীত — প্রতিক্রিয়া।
- কষ্টিপাথরে ঘর্ষিত — নিকষিত।
- কোনো উপকারে আসে না যে গাছ — আগাছা।
- ক্রমশ উঁচু রাস্তা — চড়াই।
- কিছু বলতে যার ঠোঁটে বাধে না — ঠোঁটকাটা।
- কবির পরিচয় জ্ঞাপক উক্তি— ভণিতা।
খ
- খুব দীর্ঘ নয় — নাতিদীর্ঘ, অনতিদীর্ঘ।
- খেলায় পটু — খেলোয়াড়।
- খেয়া নৌকায় পারাপারের কর্তা — খেয়ারি।
- খনি থেকে উৎপন্ন —খনিজ।
- খ (আকাশ) আলোকিত করে যে — খদ্যোত।
- খাওয়ার উপযুক্ত — খাদ্য।
- খাত, নালা প্রভৃতির পার — পগার।
- খেয়া পারাপার করে যে — পাটনি, পাটনী।
- খাদ নেই যাতে — নিখাদ।
- খেলার জন্য ঘর — খেলাঘর।
- খুব কাছে অবস্থিত — সন্নিকট।
- খট্টাশ জাতীয় পশু — ভাম।
- খড়ের ঘরের মিস্ত্রী — ঘরামি।
- খুচরো ব্যয় — হাতখরচ।
- খরচের হিসাব যার নেই — বেহিসেবি।
- খুশি করতে ইচ্ছুক — প্রিয়চিকীর্ষু।
- খাতাপত্র রাখার ঘর — দপ্তরখানা।
গ
- গুরুগৃহে বাস — অন্তেস্তবাসী।
- গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা — উদ্বন্ধন।
- গরম জল — উন্মোদক।
- গর্দভের বাসস্থান — খরশাল।
- গণপতি উপাসক — গাণপত্য।
- গোরু চরানোর স্থান — গোষ্ঠ।
- গোরু রাখার স্থান — গোশাল, গোয়াল।
- গান্ধার তনয় — গান্ধারী।
- গ্রাম রক্ষণে নিযুক্ত — গ্রামিক।
- গঙ্গাজলে শপথপূর্বক শপথ — গঙ্গাজলি।
- গঙ্গার শাখানদী — গাঙ্গিনী।
- গোলা নিক্ষেপ করে যে — গোলন্দাজ।
- গঙ্গার অপত্য — গাঙ্গেয়।
- গ্রামে জাত — গ্রাম্য।
- গিরির কন্যা — গিরিজা।
- গিরির স্ত্রী — গিরিজায়া।
- গাণ্ডীব ধনুঃ যার — গাণ্ডীবধন্থা।
- গাভীজাত দ্রব্য — গব্য।
- গিন্নির মতো ভাব — গিন্নিপনা।
- গমন করতে ইচ্ছুক — গন্তুকাম।
- গুরুর বাসগৃহ — গুরুকুল।
- গিরিশে শয়ন করেন যিনি — গিরিশ।
- গুরুর পত্নী — গুবী।
- গাণ্ডীবের অধিকারী — গাণ্ডীবী।
- গজের মতো বিশালাকায় — গজন্দর।
- গাঁজার নেশায় বশীভূত — গাঁজাখোর।
গ
- গাধির পুত্র—গাধেয়।
- গৃহস্থ আশ্রয়—গার্হস্থ্য।
- গলায় কাপড় দিয়েছে বা জড়িয়েছে যে—গললগ্নিকৃতবাস।
- গ্রন্থাগার রক্ষা করে যে—গ্রন্থাগারিক।
- গুরুর ভাব—গরিমা।
- গাছে উঠতে পটু যে—গেছো।
- গৃহে থাকে যে—গৃহস্থ।
- গদ্যপদ্যময় রচনা—চম্পু।
- গমনের ইচ্ছা—জিগমিষা।
- গোপন করার ইচ্ছা—জুঘুক্ষা।
- গ্রহণ করার বাসনা—জিঘৃক্ষা।
- গো দোহনকারিণী কন্যা—দুহিতা।
- গভীর রাত্রি—নিশীথ।
- গণনার যোগ্য নয় যা—নগণ্য।
- গ্রন্থসমাপ্তিতে কবির নাম, রচনাকাল প্রভৃতির উল্লেখ—পুষ্পিকা।
- গৃহে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী দুষ্ট ব্যক্তি—বাস্তুঘুঘু।
- গম্ভীর ধ্বনি—মন্দ্র, গাম্ভীর্য।
- গ্রন্থাদির অধ্যায়—স্কন্দ।
- গ্রন্থাদির টীকা—দীপিকা।
- গমন করতে পারে যে—জঙ্গম।
- গোবরে উৎপন্ন—গুরে।
- গতিশীল ঢেউ—চলোর্মি।
- গোরুর ন্যায় মূর্খ—গোমূর্খ।
- গাড়ি চালায় যে—গাড়োয়ান।
- গান করে যে—গায়ক।
- গাছের পাতায় তৈরি পাত্র —পত্রপুট।
- গোপনে সংবাদ সংগ্রহকারী — গুপ্তচর।
- গোষ্ঠের অধিপতি—গোবিন্দ।
- গঙ্গাজলে মৃতপ্রায় ব্যক্তির নিম্নাঙ্গ নিমজ্জিত রেখে পারলৌকিক ক্রিয়াদি—অন্তর্জা
- গণ যে নারীর ভর্তা —গণিকা।
- গচ্ছিত বস্তু—ন্যাস।
- গজের মুখের মতো মুখ—গজানন।
- গঙ্গার স্বর্গস্থ শাখা—স্বর্গগঙ্গা, মন্দাকিনী।
- গলায় গলায় ভাব—গলাগলি।
- গলগ্রহ হয়ে থাকা—গলগ্রাহিতা।
- গরুড়ের মাতা—বিনতা।
- গাধার ডাক—রাসভ।
- গোরুর চোখের মতো ছোটো বাতায়ন—গবাক্ষ।
- গোপনে অবস্থান—অজ্ঞাতবাস।
- গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ—দেহলি, দেউড়ি।
- গৃহে আগত অজ্ঞাত ব্যক্তি—অতিথি।
- গ্রন্থ রাখার গৃহ—গ্রন্থাগার।
- গঙ্গার সমীপে —অনুগঙ্গ।
- গুড় মিশ্রিত তামাক—গুড়ুক।
ঘ
- ঘাট ভিন্ন অন্য স্থান—আঘাটা।
- ঘাসের মতো দেখতে আগাছা—আঘাসা।
- ঘোড়ার গাড়ির চালক—কোচওয়ান।
- ঘড় ঘড় কাসি—ঘুংড়িকাসি।
- ঘর্ষণ দ্বারা উৎপাদিত তড়িৎশক্তি—ধৃষ্টতাড়িত।
- ঘোলার ভাব—ঘোলাটে।
- ঘোড়া থাকার স্থান— ঘোড়াশাল, মন্দুরা, আস্তাবল।
- ঘ্রাণের যোগ্য—ঘেয়।
- ঘোষের স্ত্রী—ঘোষজায়া।
- ঘোটা হয় যার দ্বারা—ঘোটনা।
- ঘোষের কন্যাসন্তান—ঘোষজা।
- ঘোড়ার ঘাস কাটে যে-ঘেসেড়া।
- ঘোর অন্ধকার রাত্রি-তামসী, তমিস্রা।
- ঘরের অভাব যার-হা-ঘরে।
- ঘন হচ্ছে যা-ঘনায়মান।
- ঘৃণার উদ্রেক করে যা-ঘৃণাকর।
- ঘুরছে যা-ঘূর্ণমান, ঘূর্ণায়মান।
- ঘন হয়েছে যা-ঘনীভূত।
- ঘামের দ্বারা ভিজে-ঘর্মাক্ত।
- ঘুমের জন্য কাতর- ঘুমকাতুরে।
- ঘোড়ার ডাক- হ্রেষা।
- ঘোড়ার সাজ-জিন।
- ঘটনার বিবরণ দান- প্রতিবেদন।
- ঘাটের দেখাশোনা করে যে-ঘাটোয়াল।
- ঘোড়ায় টানা গাড়ি-ঘোড়াগাড়ি, ঘোড়গাড়ি।
- ঘটা করে আরম্ভ-বহ্বারম্ভ।
চ
- চোখের কোণ- অপাঙ্গ।
- চক্ষু, কর্ণ প্রভৃতি দ্বারা যা জানতে পারা যায় না-অতীন্দ্রিয়।
- চিরস্থায়ী নহে যা-অনিত্য, নশ্বর।
- চিৎ হয়ে শয়ন করে যে-ঊর্ধ্বশায়ী।
- চক্ষুর অগোচর অতি ক্ষুদ্র কীট-কীটাণু।
- চৌত্রিশ অক্ষরের স্তব-চৌত্রিশা।
- চৈত্র মাসের ফসল-চৈতালি, চৈতালী।
- চিবিয়ে খেতে হয় যা-চর্ব্য।
- চার রাস্তার মিলনস্থল-চৌরাস্তা।
- চোখে দেখা যায় যা-চাক্ষুষ।
- চুষে খেতে হয় যা-চুষ্য।
- চক্রের প্রান্তভাগ-চক্রধারা।
- চিরকাল ধরে যা চলছে-চিরন্তন।
- চার মুখ যার-চতুর্মুখ।
- চক্ষুলজ্জাহীন ব্যক্তি-চশমখোর।
- চক্রের পরিধি-চক্রনেমি।
- চক্রাকারে পরিভ্রমণ-চক্কর।
- চন্দ্র সম্বন্ধীয়-চান্দ্র।
- চিন দেশীয় রেশম বস্ত্র- চিনাংশুক।
- চণকের পুত্র-চাণক্য।
- চামড়ার কাজ যার বৃত্তি-চামার।
- চক্রের মধ্যস্থল-চক্রনাভি।
- চাষার মতো - চাষাড়ে
- চিত্তের তৃপ্তিদায়ক- দিলখোশ।
- চোখে দেখা যায় যা- প্রত্যক্ষ।
- চোখের পাতা ফেলতে যে সামান্য সময়- পলক।
- চলছে যা-চলিয়ু, চলন্ত, চলমান।
- চোখের জল-অশ্রু।
- চক্র পাণিতে যাঁর-চক্রপাণি।
- চোখের দ্বারা গৃহীত- গোচর।
- চোখের দ্বারা দৃষ্ট-চাক্ষুষ।
- চোখের তারা- কনীনিকা।
- চতুরঙ্গ বাহিনীবিশিষ্ট সৈন্যদল-অক্ষৌহিণী।
- চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ উপলক্ষে স্নান-মুক্তিস্নান।
- চিরকাল মনে রাখার যোগ্য- চিরস্মরণীয়।
- চন্দ্রের স্ত্রী-রোহিণী।
- চরাচরের সঙ্গে- সচরাচর।
- চক্রাকারে সজ্জিত সৈন্য-চক্রব্যূহ।
- চার পা-বিশিষ্ট-চৌপায়া।
- চোখের মতো সরু জলনালী- নয়নজুলি, নয়নজলি।
- চিত্তের বিকৃতি-বৈচিত্ত্য।
- চৌকি দেয় যে-চৌকিদার।
ছ
- ছিন্ন শাখা যার-ছিন্নশাখ।
- ছন্দে নিপুণ যিনি-ছান্দসিক।
- ছোটো ছুরি-ছুরিকা।
- ছুটছে যা-ছুটন্ত।
- ছুতোরের বৃত্তি-তক্ষণ।
- ছাদের ওপরে ঘর-বলভি।
- ছয় মাস অন্তর ষান্মাসিক।
- ছল করে কান্না- মায়াকান্না।
- ছয় মায়ের সন্তান-যন্মাতুর।
- ছলপূর্ণ উক্তি-ব্যাজোক্তি।
- ছেদনের যোগ্য-ছেদ্য।
- ছোটো ছোটো গল্প-গল্পসল্প।
- ছিন্ন বস্ত্র-চীর।
- ছড়াছড়ির ফলে নষ্ট-ছয়লাপ।
- ছোটো চেহারার মানুষ - মানবক।
জ
- জাগরণের অভাব-অজাগর।
- জলবহুল স্থান- অনুপ, জলা।
- জ্বলন্ত অগ্নিচক্রের ঘূর্ণনের দ্বারা সৃষ্ট অগ্নিবলয়- অলাতচক্র।
- জঙ্গলে বা বনে উৎপন্ন-আদাড়ে।
- জানু পর্যন্ত- আজানু।
- জানু পর্যন্ত লম্বিত-আজানুলম্বিত।
- জলে স্থলে যে জন্তু বিচরণ করে- উভচর, উভয়চর।
- জ্বলজ্বল করছে যা-জাজ্বল্যমান।
- জনকের কন্যা-জানকী।
- জয়সূচক যে উৎসব-জয়ন্তী।
- জন্ম থেকে অন্ধ-জন্মান্ধ।
- জল দেখে ভয় পাওয়া- জলাতঙ্ক।
- জরা কর্তৃক সন্ধা যার- জরাসন্ধ।
- জহ্নু মুনির কন্যা-জাহ্নবী।
- জয় করার যোগ্য-জেয়।
- জমদগ্নির পুত্র-জামদগ্ন্য।
- জুয়া খেলে যে-জুয়াড়ি।
- জজের কাজ-জজিয়তি।
- জানা উচিত-জ্ঞেয়।
- জেনেও যে পাপ করে-জ্ঞানপাপী।
- জীবনধারণের জন্য অবলম্বিত উপায় বা পেশা-জীবিকা।
- জিভের দ্বারা যা উচ্চারিত হয়- জবানী।
- জায়ার অর্থে জীবনধারণ করে যে-জায়াজীব।
- জাহাজের খালাসি - লস্কর, লশকর।
- জানার ইচ্ছা-জিজ্ঞাসা।
- জয় করার ইচ্ছা-জিগীষা।
- জন্মাচ্ছে যা-জায়মান।
- জনবিরল বিশাল প্রান্তর-তেপান্তর।
- জায়া ও পতি-দম্পতি, জম্পতি, জায়াপতি।
- জল দেয় যে-জলদ।
- জীবের অণু-জীবাণু।
- জলে চরে যে-জলচর।
- জাদু দেখায় যে-জাদুকর।
- জ্বলছে যা-জ্বলন্ত।
- জনরব শুনে হাজির হয়-রবাহত।
- জাতি থেকে ভ্রষ্ট-জাতিভ্রষ্ট।
- জীমূত বাহন যার-জীমূতবাহন।
- জতুনির্মিত গৃহ-জতুগৃহ।
- জটা আছে যার-জটাধর।
- জরা নেই যার-অজর।
- জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান-সজ্ঞান।
- জীবনধারণের জন্যে দেয় অর্থ- খোরপোশ।
- জলে জন্মে যা-জলজ।
- জুয়া চুরি করে যে-জুয়াচোর।
- জন্মেনি যে-অজ।
- জানা যায় না যা-অজ্ঞেয়।
ঝ
- ঝাড়মোছ হয় যার দ্বারা-ঝাড়ন।
- ঝট করে টান-ঝক্কা।
- ঝড়ের প্রচণ্ড ধাক্কা-ঝাপট।
- ঝাঁট দেয় যে-ঝাড়ুদার।
- ঝুলছে যা-ঝুলন্ত।
- ঝন ঝন শব্দ-ঝঙ্কার, ঝনৎকার।
- ঝগড়া করা স্বভাব যার- ঝগড়াটে।
- টাইমের বাইরে- বেটাইম।
- টোল পড়েনি এমন- নিটোল।
ঠ
- ঠিক নয়-বেঠিক।
- ঠাকুরের ভাব-ঠাকুরালি।
- ঠেঙিয়ে দস্যুতা করে যারা- ঠ্যাঙাড়ে।
- ঠান্ডায় পীড়িত-শীতার্ত।
ড
- ডাইনি পেটায় যে-ডানপিটে।
- ডুব দিতে জানে যে-ডুবুরি।
- ডিহির শাসক- ডিহিদার।
- ডাকাতের মতো বুকে সাহস যার- ডাকাবুকো।
- ডাক বহন করে যে-ডাকহরকরা।
- ডিঙি বাইবার দাঁড়-বৈঠা।
- ডিমের মধ্যকার শ্বেতাংশ - অন্ডিল।
ঢ
- ঢাকায় প্রস্তুত-ঢাকাই।
- ঢিপির মতো-ঢ্যাপসা।
- ঢাক বাজায় যে-ঢাকি।
- ঢাকের প্রচণ্ড শব্দ-ঢক্কানিনাদ।
- ঢেঁকি যে ঘরে থাকে- ঢেঁকিশাল।
- ঢেউয়ের ফলে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ- ছলচ্ছল।
- ঢোল বাজিয়ে প্রচার - ঢোলসহরত।
জীবজন্তুর ডাক অর্থে----
- কুকুরের ডাক-বুরুন।
- বিড়ালের মিউমিউ ডাক-জিবন।
- ভ্রমরের শব্দ-গুঞ্জন।
- ঘোড়ার ডাক-হ্রেষা।
- ময়ূরের ডাক-কেকা।
- ভেকের ডাক-মকমকি।
- পাখির ডাক-কুজন, কাকলি।
- হস্তীর ডাক-বৃহেণ।
- কোকিলের ডাক-কুহু।
- ত
- তোপের ধ্বনি-গুড়ুম।
- তাল জ্ঞান নেই যার-তালকানা।
- তির নিক্ষেপ করে যে-তিরন্দাজ।
- ত্বরায় গমন করে যে-তুরগ, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম।
- তরঙ্গ উঠেছে যাতে- তরঙ্গায়িত।
- তরণ করতে ইচ্ছুক-তিতীর্ষু।
- তরণ করার ই+
থ
- থাবার আঘাত- থাপড়।
- থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি-ঠমক।
দ
- দারুণ মানসিক দুঃখ-অন্তর্দাহ।
- দক্ষিণ দিক-অবাচী।
- দুয়ের মধ্যে একটি- অন্যতর।
- দার (স্ত্রী) পরিগ্রহ যে করেনি-অকৃতদার।
- দমন করা যায় না যাকে- অদম্য।
- দ্বিতীয় সত্তা বা জোড়া নেই যার-অদ্বিতীয়।
- দিবসের শেষ ভাগ-অপরাহ্ণ।
- দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত- আধিদৈবিক।
- দ্বীপের সদৃশ-উপদ্বীপ।
- দিনে একবার মাত্র আহার করে যে-একাহারী।
- দেহে, মনে ও কথায়- কায়মনোবাক্যে।
- দীর্ঘ কর্ণ-কর্ণিল।
- দাঁড়ের চালক-ক্ষেপণিক।
- দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সন্ধিক্ষণ-গোধূলি।
- দু-প্রকার অর্থ যার- দ্ব্যর্থ, দ্ব্যর্থক।
- দশরথের অপত্য-দাশরথি।
- দেখতে ইচ্ছা-দিদৃক্ষা।
- দেখতে ইচ্ছুক-দিদৃক্ষু।
- দ্বারে নিযুক্ত- দৌবারিক।
- দেবতার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত- দেবত্র।
- দান করা উচিত- দাতব্য।
- দু-দিকে অপ যার-দ্বীপ।
- দ্বীপে জন্ম হয়েছে যার-দ্বৈপায়ন।
- দান করে কেড়ে নেয়- দত্তাপহারী।
- দণ্ড দেওয়ার যোগ্য-দণ্ডনীয়, দণ্ডাই।
- দাম (রজ্জু) উদরে যার- দামোদর।
- দর্প নাশ করে যে-দর্পনাশী।
- দু-বার জন্ম হয় যার-দ্বিজ।
- দ্বারে থাকে যে-দ্বারস্থ।
- দশ আনন যার-দশানন।
- দূরের ঘটনা দেখা যায় যাতে- দূরদর্শন।
- দেখা যাচ্ছে যা-দৃশ্যমান।
- দুপদের কন্যাসন্তান- দ্রৌপদী।
- দর্শনশাস্ত্র জানেন যিনি-দার্শনিক।
- দুই রথীর যুদ্ধ —দ্বৈরথ
- দন্তপত্তির শুভ্রতারূপ জ্যোৎস্না- দন্তরুচিকৌমুদি।
- ন্দানের ইচ্ছা- দিৎসা।
- দুই মায়ের সন্তান- দ্বৈমাতুর।
- দানের যোগ্য- দেয়।
- দেশের প্রতি প্রেম আছে যার - দেশপ্রেমিক।
- দ্রব্য থেকে উৎপন্ন- দ্রব্যজাত।
- দোহনের যোগ্য- দোহনীয়।
- দীক্ষার যোগ্য-দীক্ষণীয়।
- দুগ্ধ ফেনার মতো শুভ্র-দুগ্ধফেননিভ।
- দেওয়া যাচ্ছে না-দীয়মান।
- দুই তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র- দোতারা।
- দূতের কাজ দৌত্য, দূতালি।
- দু-দিনে হয় যা-দ্ব্যাহিক।
- দ্রব হয়েছে যা-দ্রবীভূত।
- দ্রোণের পুত্র- দ্রৌণি।
- দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান- দোয়াব।
- দাঁত কপাট হয় যে অবস্থায়- দাঁতকপাটি।
- দুই পুত্রের জননী-দ্বিপুত্রিকা।
- দাঙ্গা-হাঙ্গামা, খুন-জখম ইত্যাদির স্থান- অকুস্থল।
- দনুর পুত্র-দানব, দনুজ।
- দুই ভাষা জানে যে-দোভাষী।
- দু-বার বলা-দ্বিরুক্তি।
- দূরকে দেখার যন্ত্র-দূরবিন।
- দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ- রোজনামচা।
- দুঃখের যোগ-দুর্যোগ।
- দু-বার বিবাহিতা স্ত্রী-দ্বিরুঢ়া।
- দেবরাজ ইন্দ্রের আবাস-বৈজয়ন্ত।
- দু-পিঠে সমান কারুকার্যবিশিষ্ট বস্ত্র - দোরোখা।
- দীনের ভাব-দৈন্য।
- দু-বার ফল ধরে যে গাছে- দোফলা।
- দাম থেকে ছাড় দেওয়া- ধরাট, দস্তুরি।
- দয়া নেই যার-নির্দয়।
- দু-হাতে সমান কাজ করতে পারে যে-সব্যসাচী।
- দৃষ্টির অগোচরে - অদৃশ্য।
- দাড়ি জন্মেনি যার - অজাতশ্মশ্রু।
- দেওয়া যায় না যা-অদেয়।
- দেহরঞ্জনের দ্রব্য-অঙ্গরাগ।
- দামি জিনিসপত্র রাখা হয় যেখানে-তোশাখানা।
- দুগ্ধবতী গাভী-পয়স্বিনী।
- দুই বা তার বেশি তল আছে এমন অট্টালিকা- বালাখানা।
ধ
- ধার করতে ইচ্ছুক-ঋণপ্রার্থী।
- ধান্যাদি পরিমাপকারী-কয়ালি।
- ধনুকের ছিলা-জ্যা।
- ধুয়া করে যে-দোয়ার।
- ধ্যানের যোগ্য- ধেয়।
- ধ্যান করেন যিনি-ধ্যাতা, ধ্যানী।
- ধূম উদ্গিরণ করছে যা-ধূমায়মান।
- ধুর বা ভার বহন করে যে-ধুরন্ধর।
- ধনু দ্বারা যুদ্ধে নিপুণ যিনি-ধনুর্ধর।
- ধী আছে যার-ধীমান।
- ধূম্র লোচন যার-ধূম্রলোচন।
- ধন জয় করেন যিনি-ধনঞ্জয়।
- ধোঁয়ার ন্যায় বর্ণযুক্ত - ধোঁয়াটে।
- ধনুকের ছিলার শব্দ-টঙ্কার।
- ধুনা জ্বালা হয় যে পাত্রে- ধুনাচি।
- ধারণ করে যা রাখে—ধর্ম
- ধুলায় পরিণত-ধূলিসাৎ।
- ধ্যানে যিনি মগ্ন- ধ্যানস্থ।
- ধীরে যে গমন করে-ধীরগামী, মন্দগামী।
- ধারা ধরে যা চলে-ধারাবাহিক।
- ধনীর অট্টালিকার ছাদযুক্ত তোরণ- দেহলী।
- ধনীর বাসগৃহ-হ্য।
- ধূর্তের স্বভাব- ধৌর্তক।
- ধনুক নিয়ে যে যুদ্ধ করে- ধানুকী।
- ধুলার মতো যার রং- পাংশুল।
- ধীশক্তির অধিকারী- ধীমান।
- ধানের মতো যার রং-ধানী।
- ধান থেকে উৎপন্ন- ধেনো।
- ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান- ধর্মিষ্ঠ।
- ধর্ম ধ্বজা যার—ধর্মধ্বজী
- ধনের দেবতা- কুবের।
ন
- নিকৃষ্ট ব্যক্তি-অজন।
- নিজেকে সামলাতে পারে না যে-অসংযমী।
- নিবারণ করা যা যায় না-অনিবার্য।
- নিন্দার যোগ্য নয় যা-অনিন্দনীয়, অনিন্দ্য।
- নেই শোক যার-অশোক।
- নিজেকে হত্যা করে যে-আত্মঘাতী।
- নির্ভুল মুনিবাক্য-আপ্তবাক্য।
- নাড়িজ্ঞান নেই যার-আনাড়ি।
- নামাজ পড়বার উদ্দেশ্যে পবিত্র আহ্বান- আজান।
- নীলবর্ণ পদ্ম-ইন্দিবর, ইন্দীবর।
- নগরের উপকণ্ঠে-উপনগর।
- নীলবর্ণ বানর-উল্লুক।
- নির্ধারিত সময়- ওয়াদা।
- নাটকের পাত্রপাত্রী-কুশীলব।
- নিজেকে কৃতার্থ মনে করে যে-কৃতার্থৰ্ম্মন্য।
- নিয়ত বা সহজে কাঁদে যে-কাঁদুনে, ছিঁচকাঁদুনে।
- নলের আকারে জমানো বরফ-কুলপি।
- নায়কের সঙ্গে কলহের পর অনুতাপিনী স্ত্রী- কলহান্তরিকা।
- নদীতে পার হওয়ার স্থান- খেয়াঘাট।
- নয়ন থেকে অশ্রু বিগলিত হচ্ছে যার - গলদশ্রু।
- নাটমন্দির ও দেবমন্দিরের মাঝের জায়গা-জগমোহন।
- নিন্দা করার ইচ্ছা-জুগুলা।
- নিন্দিত হয়েছে যা-জুগুন্সিত।
- নিদ্রিত শিশুর হাসি কান্না-দিয়ালা, দেয়ালা।
- ন্যায়শাস্ত্র জানে যে-নৈয়ায়িক।
- নমস্কারের যোগ্য- নমস্য।
- ননদের স্বামী-নন্দাই।
- নদী মাতা যার-নদীমাতৃক।
- নিন্দার যোগ্য- নিন্দনীয়।
- নূপুরের ধ্বনি-নিক্কণ।
- নৌ চলাচলের যোগ্য-নাব্য।
- নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে-নিদাঘ।
- নীর দান করে যে-নীরদ।
- নৌকা চালায় যে-নাবিক।
- নয় অতি দীর্ঘ-নাতিদীর্ঘ।
- নজর রাখে যে-নজরদার।
- নিমক আস্বাদযুক্ত খাবার - নিমকি।
- নির্মাণের ইচ্ছা-নির্মিৎসা।
- নিত্য আনন্দ যার-নিত্যানন্দ।
- নিজেকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতমানী, পণ্ডিতম্নন্য।
- নারীর কটিভূষণ চন্দ্রহার প্রভৃতি-রশনা।
- নারীর নৃত্য-লাস্য।
- নিজেকে হীন মনে করা- হীনম্মন্যতা।
- নিবারণ করা যায় না-দুর্নিবার।
- নিকষার পুত্র-নৈকষেয়।
- নীচে জল আছে যার-অন্তঃসলিলা।
- নবপ্রসূতা গাভী-ধেনু।
- নাভি পর্যন্ত বিস্তৃত হার-ললন্তিকা।
0 Comments