ভরদুপুরে
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
ওই যে অশথ গাছটি, ও তো
পথিকজনের ছাতা,
তলায় ঘাসের গালচেখানি
আদর করে পাতা।
চরছে দূরে গোরুবাছুর,
গাছের তলায় শুয়ে,
দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায়
আকাশটাকে ছুঁয়ে।
খোলের মধ্যে বোঝাই করে
শুকনো খড়ের আঁটি
নদীর ধারে বাঁধা কাদের
ওই বড়ো নৌকাটি।
কেউ কোথা নেই,
বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো,
ভরদুপুরে যে যার ঘরে
ঘুমোচ্ছে লোকগুলো।
শুধুই কী আর মানুষ ঘুমোয়,
যে জানে, সে-ই জানে
আঁচল পেতে বিশ্বভুবন
ঘুমোচ্ছে এইখানে।
লেখক পরিচিতি:
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (জন্ম ১৯২৪): জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা। সত্যযুগ পত্রিকার সাংবাদিকরূপে কর্মজীবন শুরু করেন, পরবর্তীকালে আনন্দবাজার পত্রিকা-র সঙ্গে যুক্ত হন। বহুদিন তিনি আনন্দমেলা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা কবিতার জগতে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম। তাঁর কাব্যগ্রন্ঋগুলির মধ্যে রয়েছে- নীল নির্জন, অন্ধকার বারান্দা, কলকাতার যীশু প্রভৃতি। উলঙ্গ রাজা কাব্যগ্রশ্নের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন।
১.১ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা
১.২ তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্দের নাম লেখো।
উত্তর: তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্দের নাম নীল নির্জন, অন্ধকার বারান্দা
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:
২.১ 'অশথ গাছ'কে পথিক জনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: comming soon
২.২ রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে?
উত্তর: coming soon
২.৩ নদীর ধারের কোন দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?
উত্তর: comming
শব্দার্থ: গালচে-কার্পেট, ঘরের মেঝেতে পাতার শৌখিন ফরাশ। খোল- ফাঁপা আবরণ। মিহিন -সূক্ষ্ম, অতি ক্ষুদ্র।
৩. একই অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো: তৃণ— ঘাস, তটিনী—নৌকা, গোরক্ষক—রাখাল, পৃথিবী—বিশ্বভুবন, জলধর—মেঘ।
৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তিত করো:
ঘাস—ঘেসো, রাখাল—রাখালি, আকাশ—আকাশি, মাঠ—মেঠো, আদর—আদূরে, গাছ—গেছো, লোক—লৌকিক।
৫. পাশে দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যোগ করে নতুন শব্দ তৈরি করো: নদী, আদর, বাতাস।
৬ নীচের বাক্য বা বাক্যাংশগুলির থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় চিহ্নিত করে উদ্দেশ্য অংশের সম্প্রসারণ করো:
৬.১ ওই যে অশথ গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।
উত্তর: উদ্দেশ্য: ওই যে অশথ গাছটি
বিধেয়: ও তো পথিকজনের ছাতা
৬.২ কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।
উত্তর: উদ্দেশ্য: কেউ কোথা নেই, বাতাস
বিধেয়: ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো
৬.৩ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।
উত্তর: উদ্দেশ্য: আঁচল পেতে বিশ্বভুবন
বিধেয়: ঘুমোচ্ছে এইখানে
৭. 'বিশ্বভুবন' শব্দে 'বিশ্ব' আর 'ভুবন' শব্দদুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যাদের অর্থ একই। এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করো।
৮. ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করো (কোনটিতে কাজ চলছে/ কোনটিতে বোঝাচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে):
৮.১ চরছে দূরে গোবুবাছুর।
উত্তর:
৮.২ দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায় আকাশটাকে ছুঁয়ে।
উত্তর:
৮.৩ নদীর ধারে বাঁধা কাদের ওই বড়ো নৌকাটি।
উত্তর:
৮.৪ বাতাস গুড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।
উত্তর:
৮.৫ আঁচল পেতে বিশ্বভূবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।
উত্তর:
৯. নীচের বাক্যগুলির গঠনগত শ্রেণিবিভাগ করো (সরল/যৌগিক/জটিল):
৯.১ তলায় ঘাসের গালচেখানি আদর করে পাতা।
উত্তর:
৯.২ ওই যে অশথ গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।
উত্তর:
৯.৩ ভরদুপুরে যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে লোকগুলো।
উত্তর:
৯.৪ যে জানে, সেই জানে।
উত্তর:
১০. 'ওই যে অশথ গাছটি...' অংশে 'ওই' একটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম। এমন আরও কয়েকটি সর্বনামের উদাহরণ দাও। যেমন- ও, উহা, উনি, ওরা ইত্যাদি।
১১. 'পথিকজনের ছাতা'- সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করো, কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ খুঁজে লেখো আর নতুন সম্বন্ধপদ যুক্ত শব্দ তৈরি করো। যেমন- গোঠের রাখাল, দুপুরের ঘুম।
১২. 'ওই বাড়ো নৌকাটি' বলতে বোঝায় একটি নৌকোকে। নৌকার সঙ্গে এখানে 'টি' নির্দেশক বসিয়ে একবচন বোঝানো হয়েছে। এরকম একটিমাত্র একবচনের রূপ বোঝাতে কোন কোন নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখো।
১৩ . কবিতা থোকে বহুবচনের প্রয়োগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো। প্রসঙ্গত, শব্দকে আর কী
কী ভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
১৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:
১৪.১ 'আঁচল পেতে বিশ্বভূবন ঘুমোচ্ছে এইখানে'-কবির এমন ভাবনার কারণ কী?
ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখো।
১৪.২ 'ভরদুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায়ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখো।
১৪.৩ কোনো এক ছুটির দিনে দুপুরবেলায় তোমার বাড়ির চারপাশ জুড়ে কেমন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো। ১৪.৪ তোমার দেখা একটি অলস দুপুরের ছবি আঁকো।
0 Comments