Header Ads Widget

নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি | ব্যঞ্জনসন্ধি

নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি

সন্ধির নিয়মে যেগুলি গৃহীত হয় না ব্যাকরণের পরিভাষায় তাদের নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।অর্থাৎ কিছু কিছু ব্যঞ্জনসন্ধি আছে যা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না।

উদাহরণ: গো + পদ = গোস্পদ, পর + পর = পরস্পর, সম্ + রাট = সম্রাট, পুমস্ + জাতি = পুংজাতি, হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র, আ + চর্য = আশ্চর্য, ষট্ + দশ = ষোড়শ, আ + পদ = আস্পদ, হিনস্ + অ = সিংহ, যাচ্ + অক = যাচক, মনস্ + ঈষা = মণীষা, পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি, এক + দশ = একাদশ, সীমন + অন্ত = সীমন্ত, যাবৎ + ঈয় = যাবতীয়, , বিশ্ব + মিত্র = বিশ্বামিত্র, দিব্‌ + লোক = দ্যুলোক, পশ্চাৎ + অর্ধ = পশ্চার্ধ, বন + পতি = বনস্পতি, তদ্ + কর = তস্কর, বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি। 

বাক্যে প্রয়োগ :

১। তার ব্যবহার দেখে সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল।

অনেক সময় সংস্কৃত সন্ধির সঙ্গে বাংলা সন্ধির নিয়ম মেলে না। প্রতিদিন আমরা নতুন নতুন শব্দ নির্মাণ করি। কথা বলার সময় বুঝতে পারি না, আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন কত শব্দ তৈরি করি। সেগুলি সন্ধির নিয়মে হয় না। যেমন— যা + ইচ্ছে + তাই = যাচ্ছেতাই, পাকা + আমি পাকামি, বঙ্গ + আল = বঙ্গাল ইত্যাদি শব্দগুলি আমরা তৈরি করেছি। এই শব্দ নির্মাণ স্বতঃস্ফূর্ত হয়।







ধন্যবাদ 

Post a Comment

0 Comments