এক নজরে বৈষ্ণব পদাবলী :
১. পদাবলী শব্দটি প্রথম কে কোথায় ব্যবহার করেন?
উত্তর: জয়দেব, তাঁর গীতগোবিন্দ কাব্যে।
২. বিদ্যাপতি কার কাছ থেকে ‘অভিনব জয়দেব’ উপাধি লাভ করেছিলেন?
উত্তর: রাজা শিবসিংহের কাছ থেকে।
৩. ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ নামে কে পরিচিত ?
উঃ গোবিন্দদাসকে।
৪. কে, কত সালে কোথায় প্রথম বিদ্যাপতির পদ উল্লেখ করেন ?
উঃ ১৮৫৮-৫৯ খ্রীষ্টাব্দে রাজেন্দ্রলাল মিত্র ‘বঙ্গভাষার উৎপত্তি’ নামক প্রবন্ধে।
৫. কে, কত সালে কোন প্রবন্ধে বিদ্যাপতির প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘটন করেন? প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উঃ ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়।
৬. বিদ্যাপতির জন্মস্থান কোথায়?
উঃ বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগণার বিসফী গ্রামে।
৭. “An introduction to the Maithili Language of North Bihar” নামক গ্রন্থটি কার লেখা, গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উঃ গ্রীয়ার্সন সাহেবের লেখা, ১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় ।
৮. An introduction to the Maithili Language of North bihar গ্রন্থে বিদ্যাপতির কতগুলি পদ সংকলিত আছে?
উত্তর: ৮২ টি।
৯. বিদ্যাপতির পিতার নাম কী?
উত্তর: গণপতি ঠাকুর।
১০. বিদ্যাপতি কয়জন রাজা ও কয়জন রাণীর পৃষ্টপোষকতা লাভ করেছিলেন? তাঁদের নাম কী?
উত্তর: ছয়জন রাজা (শিবসিংহ, কীর্তিসিংহ, দেব সিংহ, পদ্ম সিংহ, পুরাদিত্য, ভৈরব সিংহ ) এবং একজন রাণীর(বিশ্বাস দেবী) পৃষ্টপোষকতা লাভ করেন ।
১১. বৈষ্ণব পদাবলী ছাড়া বিদ্যাপতি আর কী কী গ্রন্থ রচনা করেছিলেন? প্রকাশসাল উল্লেখ করে গ্রন্থগুলির নাম লেখো ।
উত্তর: ক) ভূপরিক্রমা- ১৪০০ খ্রীষ্টাব্দ
খ) কীর্তিলতা –১৪০২-১৪০৪ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে
গ) পুরুষ পরীক্ষা -১৪১০ খ্রীষ্টাব্দ
ঘ) কীর্তিপতাকা – ১৪১০ খ্রীষ্টাব্দ
ঙ) লিখনাবলী – ১৪১৮ খ্রীষ্টাব্দ
চ) শৈবসর্বস্বহার – ১৪৩০-৪০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে
ছ) গঙ্গাবাক্যাবলী – ১৪৩০-৪০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে
জ) বিভাগসার – ১৪৪০-৬০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে
ঝ) দানবাক্যাবলী – ১৪৪০-৬০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে
ঞ) দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী – ১৪৪০-৬০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে।
১২. মিথিলা থেকে নৈমিষারণ্য পর্যন্ত ভূভাগের বর্ণনা বিদ্যাপতি কোন গ্রন্থে আছে?
উত্তর: ‘ভূপরিক্রমা’ গ্রন্থে।
১৩. অবহট্টঠ ভাষায় লেখা বিদ্যাপতির দুটি গ্রন্থের নাম লেখ?
উত্তর: ‘কীর্তিলতা’ ও ‘কীর্তিপতাকা’।
১৪. বিদ্যাপতির ‘পুরুষ পরীক্ষা’ গ্রন্থটি কোন ভাষায় রচিত?
উত্তর: সংস্কৃত ভাষায়।
১৫. বিদ্যাপতির ‘লিখনাবলী’ কী জাতীয় রচনা?
উত্তর: পত্র রচনার রীতি সম্বলিত গ্রন্থ।
১৬. ‘পাঁচশত বৎসরের পদাবলী’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ডঃ বিমানবিহারী মজুমদার।
১৭. ‘উজ্জ্বলনীলমণি’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর: রূপ গোস্বামী।
১৮. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?
উত্তর: দীনেশচন্দ্র সেন।
১৯. শ্রীচৈতন্যের সমসাময়িক চারজন বৈষ্ণব পদকর্তার নাম লেখ ।
উত্তর: নরহরি সরকার, গোবিন্দ ঘোষ, মাধব ঘোষ, বাসুদেব ঘোষ
২০. গোবিন্দ ঘোষ গৌরাঙ্গবিষয়ক কটি পদ রচনা করেছেন?
উত্তর: ১৭ টি পদ।
২১. ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর: নরহরি চক্তবর্তী।
২২. ‘ভক্তিরসামৃতসিন্ধু’ গ্রন্থটি কে কত খ্রীষ্টাব্দে রচনা করেন? গ্রন্থটিতে মোট কত শ্লোক আছে? গ্রন্থটি কটি বিভাগে বিভক্ত কী কী ? প্রত্যেকটি বিভাগের নাম লেখো।
উত্তর: ১৫৪১ খ্রীষ্টাব্দে রূপ গোস্বামী রচনা করেন? গ্রন্থটিত ২১৪১টি শ্লোক আছে। চারটি ভাগে বিভক্ত যথা পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর।
২৩ বৈষ্ণব মতে মুখ্যরস ও গৌণরস কটি ও কী কী?
উত্তর: মুখ্যরস পাঁচটি- শান্ত,দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর।
গৌণরস সাতটি – হাস্য, অদ্ভুত, বীর, রৌদ্র, করুণ, ভয়ানক ও বীভৎস।
২৪. জ্ঞানদাস কত খ্রীষ্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৫৩০ খ্রীষ্টাব্দে কাটোয়ার কাছে কাঁদরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২৫. ‘দানকেলি কৌমুদী’ নাটকের রচয়িতা কে?
উত্তর: শ্রীরূপ গোস্বামী।
২৬. অভিসার শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর: সংকেত স্থানে গমন।
২৭. পূর্বরাগ কাকে বলে?
উঃ শ্রীরূপ গোস্বামী তাঁর ‘উজ্জ্বলনীলমণি’ গ্রন্থে সংজ্ঞা দিয়েছেন-
“রতির্যা সংগমাৎ পূর্বং দর্শনশ্রবণাদিজা।
তয়োরুন্মীলতি প্রাজ্ঞৈ পূর্বরাগ স উচ্যতে।।”
অর্থাৎ প্রকৃত মিলনের আগে নায়ক-নায়িকার পারস্পরিক দর্শন প্রভৃতি থেকে জাত মিলনেচ্ছায়ময় রতি উপযুক্ত সঞ্চারীভাব ও অনুভাবের দ্বারা পুষ্ট হয়ে প্রকাশ পেলে তাকে পূর্বরাগ বলা হয়।
২৮. পূর্বরাগ কয় প্রকার , কী কী?
উত্তর: দুই প্রকার। দর্শনজাত পূর্বরাগ ও শ্রবণজাত পূর্বরাগ।
দর্শনজাত পূর্বরাগ আবার তিন প্রকার – সাক্ষাৎ দর্শন, চিত্রপটে দর্শন, স্বপ্নে দর্শন।
শ্রবণজাত পূর্বরাগ আবার পাঁচ প্রকার – দূতীমুখে শ্রবণ, বন্দিমুখে শ্রবণ, সখীমুখে শ্রবণ, গুণীজনের মুখে শ্রবণ, ব্রাহ্মণের মুখে শ্রবণ
২৯. পূর্বরাগ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: চণ্ডীদাস।
৩০. অনুরাগ কাকে বলে?
উত্তর: শ্রীরূপ গোস্বামী তাঁর ‘উজ্জ্বলনীলমণি’ গ্রন্থে সংজ্ঞা দিয়েছেন-
“সদানুভূতমপি যঃ কূর্যান্নবনং প্রিয়ম্।
রাগো ভবন্নবনমঃ সোহনুরাগ ইতীর্যতে।।”
অর্থাৎ যে রাগ নিত্য নব নবায়মান হয়ে সর্বদা অনুভূত প্রিয়জনকেও নতুন নতুনভাবে অনুভব করিয়ে প্রতি মুহূর্তেই প্রেমকে নবীনতা দান করে, তাকেই অনুরাগ বলা হয়।
2 Comments
খুব সুন্দর পোস্ট.
ReplyDeleteআরো চাই.
খুব সুন্দর
ReplyDelete