অর্থ সম্বন্ধযুক্ত দুই বা দুইয়ের বেশি পদের মিলিত হওয়ার নাম হল সমাস।
সমাস শব্দটির অর্থ হলো “সংক্ষিপ্ত করা”[সম্-√অস্+অ(ঘঞ্)=সমাস]।
সমাসের আলোচনায় যে পরিভাষা গুলির সঙ্গে আমাদের পরিচয় থাকা প্রয়োজন সেগুলো নিম্নরূপ:
সমস্যমান পদ : যে ক'টি পদ মিলে সমাস হয়, তার প্রতিটিকে বলা হয় সমস্যমান পদ। ‘মৌমাছি’ এই সমাসবদ্ধ পদের 'মৌ' সংগ্রহ করে যে 'মাছি' এই দুটি সমস্যমান পদ।
ব্যাসবাক্য : যে বাক্য বা বাক্যাংশ দিয়ে সমস্যমান পদ গুলো অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়, তাকে বলে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য(ব্যাস, বিগ্রহ =বিশ্লেষণ)। মৌ সংগ্রহ করে যে মাছি = ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য।
সমস্ত পদ : সমাস করে যে নতুন পদটি হয়, তাকে বলে সমস্তপদ। মৌমাছি = সমস্ত পদ।
পূর্বপদ : সমস্যমান পদ গুলোর প্রথম টির নাম পূর্ব পদ। মৌ = পূর্ব পদ।
পরপদ : সমস্যমান পদ গুলোর শেষেরটির বা পরের পদটির নাম পরপদ বা উত্তর পদ।
মাছি= পরপদ বা উত্তর পদ । (উত্তর=পরবর্তী)।
অর্থাৎ সন্ধি ও সমাসের কাজেই শব্দসমূহের সংক্ষিপ্তকরণ বা একপদীকরণ কিন্তু উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে সেগুলি :
(১) অব্যয়ীভাব সমাস,
(২) তৎপুরুষ সমাস,
(৩) দ্বন্দ্ব সমাস,
(৪) বহুব্রীহি সমাস।
কর্মধারয়, দ্বিগু ও তৎপুরুষ সমাসে পরপদ বা উত্তরপদের অর্থ প্রধান, দ্বন্দ্ব সমাসে উভয় পদের অর্থ প্রধান, বহু বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদ দুটি ব্যতীত অন্য একটি পদের অর্থ প্রধান । তবে উত্তরপদে অর্থ প্রাধান্য পায় বলে কর্মধারয় ও দ্বিগু সমাসকে সংস্কৃত ব্যাকরণে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্গত বলে ধরা হয়। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণে কর্মধারয় ও দ্বিগু পৃথক সমাস হিসেবে ধরা হয় ।
বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সমাস আট প্রকার। যথা:
১) কর্মধারয় সমাস,
২) তৎপুরুষ সমাস,
৩) দ্বন্দ্ব সমাস,
৪) বহুব্রীহি সমাস,
৫) দ্বিগু সমাস,
৬) নিত্য সমাস ,
৭) অলোপ সমাস, ও
৮) বাক্যাশ্রয়ী সমাস ।
যে সমাসে পূর্বপদ সাধারণত পরপদের বিশেষণ হিসেবে থাকে এবং সমাসবদ্ধ পদে পরপদের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
কর্মধারয় সমাসের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ গুলি নিচে আলোচনা করা হলো:
(ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস
যে জাহাজ =উড়োজাহাজমে, মেজ যে মামা = মেজ মামা, পূর্ণ যে চন্দ্র= পূর্ণচন্দ্র, নীল যে আকাশ = নীলাকাশ, নব যে যৌবন= নবযৌবন, হাফ যে মোজা= হাফমোজা, গন্ড যে গ্রাম= গন্ডগ্রাম ।
(খ) উপমিত কর্মধারয় সমাস
যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে উপমেয় (যাকে তুলনা করা হচ্ছে) ও উত্তর পদে উপমান (যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে) থাকে এবং যেখানে সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে । এখানে পূর্বপদ ও উত্তরপদ দুটিই বিশেষ্য; কিন্তু উত্তরপদটির মধ্যে বিশেষণের ভাব থাকে। যেমন :
পুরুষ সিংহের মতো= পুরুষ সিংহ,
সমাস শব্দটির অর্থ হলো “সংক্ষিপ্ত করা”[সম্-√অস্+অ(ঘঞ্)=সমাস]।
সমাসের আলোচনায় যে পরিভাষা গুলির সঙ্গে আমাদের পরিচয় থাকা প্রয়োজন সেগুলো নিম্নরূপ:
সমস্যমান পদ : যে ক'টি পদ মিলে সমাস হয়, তার প্রতিটিকে বলা হয় সমস্যমান পদ। ‘মৌমাছি’ এই সমাসবদ্ধ পদের 'মৌ' সংগ্রহ করে যে 'মাছি' এই দুটি সমস্যমান পদ।
ব্যাসবাক্য : যে বাক্য বা বাক্যাংশ দিয়ে সমস্যমান পদ গুলো অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়, তাকে বলে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য(ব্যাস, বিগ্রহ =বিশ্লেষণ)। মৌ সংগ্রহ করে যে মাছি = ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য।
সমস্ত পদ : সমাস করে যে নতুন পদটি হয়, তাকে বলে সমস্তপদ। মৌমাছি = সমস্ত পদ।
পূর্বপদ : সমস্যমান পদ গুলোর প্রথম টির নাম পূর্ব পদ। মৌ = পূর্ব পদ।
পরপদ : সমস্যমান পদ গুলোর শেষেরটির বা পরের পদটির নাম পরপদ বা উত্তর পদ।
মাছি= পরপদ বা উত্তর পদ । (উত্তর=পরবর্তী)।
অর্থাৎ সন্ধি ও সমাসের কাজেই শব্দসমূহের সংক্ষিপ্তকরণ বা একপদীকরণ কিন্তু উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে সেগুলি :
সমাসের শ্রেণীবিভাগ
সংস্কৃত ব্যাকরণে অর্থ প্রাধান্য অনুযায়ী সমাসকে প্রধানত চারভাগে বিভক্ত করা যায় । যথা :(১) অব্যয়ীভাব সমাস,
(২) তৎপুরুষ সমাস,
(৩) দ্বন্দ্ব সমাস,
(৪) বহুব্রীহি সমাস।
কর্মধারয়, দ্বিগু ও তৎপুরুষ সমাসে পরপদ বা উত্তরপদের অর্থ প্রধান, দ্বন্দ্ব সমাসে উভয় পদের অর্থ প্রধান, বহু বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদ দুটি ব্যতীত অন্য একটি পদের অর্থ প্রধান । তবে উত্তরপদে অর্থ প্রাধান্য পায় বলে কর্মধারয় ও দ্বিগু সমাসকে সংস্কৃত ব্যাকরণে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্গত বলে ধরা হয়। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণে কর্মধারয় ও দ্বিগু পৃথক সমাস হিসেবে ধরা হয় ।
বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সমাস আট প্রকার। যথা:
১) কর্মধারয় সমাস,
২) তৎপুরুষ সমাস,
৩) দ্বন্দ্ব সমাস,
৪) বহুব্রীহি সমাস,
৫) দ্বিগু সমাস,
৬) নিত্য সমাস ,
৭) অলোপ সমাস, ও
৮) বাক্যাশ্রয়ী সমাস ।
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ গুলি নিচে আলোচনা করা হলো:
(ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস
*বিশেষণ - বিশেষ্য*
খাস যে মহল= খাসমহল, সু যে পুরুষ= সুপুরুষ , উযে জাহাজ =উড়োজাহাজমে, মেজ যে মামা = মেজ মামা, পূর্ণ যে চন্দ্র= পূর্ণচন্দ্র, নীল যে আকাশ = নীলাকাশ, নব যে যৌবন= নবযৌবন, হাফ যে মোজা= হাফমোজা, গন্ড যে গ্রাম= গন্ডগ্রাম ।
*বিশেষ্য-বিশেষণ (পূর্ব নিপাত)*
ভাজা যে পটল পটল ভাজা সেদ্ধ যে ডিম সেদ্ধ কতক যেদিন দিন কতক বাটা যে হলুদ হলুদ বাটা।
*বিশেষ্য বিশেষণ*
যে চালাক সেই চতুর = চালাক চতুর , যা অম্ল তাই মধুর = অম্লমধুর , যিনি গণ্য তিনি মান্য = গণ্যমান্য , যা স্নিগ্ধ তাই উজ্জল = স্নিগ্ধোজ্জল ।
*বিশেষ্য-বিশেষ্য*
যিনি গুরু তিনিই দেব =গুরুদেব, যা গঙ্গা তাই নদী = গঙ্গানদী, যা হিমালয় তাই পর্বত = হিমালয় পর্বত, যিনি চিৎ তিনিই আনন্দ = চিদানন্দ, যিনি গিন্নি তিনিই মা = গিন্নিমা ।
*আগে ও পরে*
আগে কাটা পরে= কাটাবাছা, আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা, পূর্বে সুপ্ত পরে উত্থিত = সুপ্তোত্থিত।(খ) উপমিত কর্মধারয় সমাস
যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে উপমেয় (যাকে তুলনা করা হচ্ছে) ও উত্তর পদে উপমান (যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে) থাকে এবং যেখানে সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে । এখানে পূর্বপদ ও উত্তরপদ দুটিই বিশেষ্য; কিন্তু উত্তরপদটির মধ্যে বিশেষণের ভাব থাকে। যেমন :
পুরুষ সিংহের মতো= পুরুষ সিংহ,
চরণ পদ্মের মতো = চরণপদ্ম,
কর পল্লবের মত = করপল্লব,
কথা অমৃতের তুল্য = কথামৃত।
*পূর্ব নিপাত মতে*
মুখ চাঁদের মতো = চাঁদমুখ, শিশু সিংহের মতো = সিংহশিশু,
অগ্নির মতো দৃষ্টি = অগ্নিদৃষ্টি,
কমল চরণের মত = চরণকমল,
সন্দেশ আমের মতো = আমসন্দেশ,
আনন চন্দ্রের মতো = চন্দ্রানন ।
(গ) উপমান কর্মধারয় সমাস
যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদ উপমান ও উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকে, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে । এখানে পূর্বপদ বিশেষ্য ও উত্তরপদটি বিশেষণ। যেমন :
কাজলের মতো কালো = কাজলকালো,
(গ) উপমান কর্মধারয় সমাস
যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদ উপমান ও উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকে, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে । এখানে পূর্বপদ বিশেষ্য ও উত্তরপদটি বিশেষণ। যেমন :
কাজলের মতো কালো = কাজলকালো,
হস্তীর মতো মূর্খ = হস্তীর মতো মূর্খ,
বিড়ালের মত তাপস্বী = বিড়ালতপস্বী ,
বকের মত ধার্মিক = বকধার্মিক ।
(ঘ) রূপক কর্মধারয়
যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় এবং উত্তরপদে উপমান এবং এদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে । যেমন:
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি,
(ঘ) রূপক কর্মধারয়
যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় এবং উত্তরপদে উপমান এবং এদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে । যেমন:
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি,
জীবনরূপ নদ: জীবননদ,
প্রাণ রূপ পাখি = প্রানপাখি,
দুঃখ রূপ অনল = দুঃখানল।
(ঙ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—
(ঙ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—
শহীদ স্মরণে পালিত দিবস : শহীদদিবস,
নীতি বিষয়ক স্বাস্থ্য = নীতিশাস্ত্র,
সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন,
গীতি প্রধান নাট্য = গীতিনাট্য,
ঘর আশ্রিত জামাই = ঘরজামাই ।
দেব ও দ্বিজ = দেবদ্বিজ।
দ্বন্দ্ব সমাস
দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ মিলন বা যুগ্ম। এই সমাজ ‘ও’ এবং ‘আর’ সংযোজকপদ দিয়ে পূর্বপদ ও উত্তরপদ যুক্ত হয় । সমাসবদ্ধপদে, সংযোজক লুপ্ত হয় এই সমাসে উভয়পদের অর্থই প্রাধান্য পায়।দেব ও দ্বিজ = দেবদ্বিজ।
দিন ও রাত = দিনরাত
গুরু ও শিষ্য = গুরুশিষ্য
বরং ও বধু = বরবধু,
মাতা ও পিতা = মাতাপিতা,
অন্ন ও বস্ত্র = অন্নবস্ত্র,
(ক) দুটি বিশেষ্য পদের দ্বন্দ্ব
ধর্ম ও কর্ম = ধর্মকর্ম,
ধর্ম ও কর্ম = ধর্মকর্ম,
ফুল ও ফল = ফুলফল,
কুশ ও লবণ = কুশীলব,
বই ও খাতা = বইখাতা,
চন্দ্র ও সূর্য = চন্দ্রসূর্য,
গ্রহ ও নক্ষত্র = গ্রহনক্ষত্র ,
রক্ত ও মাংস = রক্তমাংস,
জামা ও কাপড় = জামাকাপড়,
স্কুল ও কলেজ = স্কুল-কলেজ,
পিতা ও পুত্র = পিতা-পুত্র,
মাসি ও মাসি = মাসিপিসি,
দরজা ও জানলা = দরজা-জানালা,
দেখা ও শোনা = দেখাশোনা,
কায়দা ও কানুন = কায়দাকানুন,
নাচ ও গান = নাচগান,
নদ ও নদী = নদ-নদী ,
চোখ ও কান = চোখকান,
ছেলে-ও-মেয়ে = ছেলে-মেয়ে,
শাল ও সেগুন = শালসেগুন।
(খ) দুই সর্বনাম পদের দ্বন্দ্ব
তুমিও আমি তুমি আমি আমারও তোমার আমার তোমার,
(খ) দুই সর্বনাম পদের দ্বন্দ্ব
তুমিও আমি তুমি আমি আমারও তোমার আমার তোমার,
একে ও ওকে = একে-ওকে,
যাকে ও তাকে = যাকে-তাকে,
সে ও যে = সে-যে,
যার ও তার = যার-তার,
ইনি ও উনি = ইনি-উনি।
(গ) দুই বিশেষণ পদের দ্বন্দ্ব
ভালো ও মন্দ = ভালো-মন্দ।
(গ) দুই বিশেষণ পদের দ্বন্দ্ব
ভালো ও মন্দ = ভালো-মন্দ।
ধনী ও দরিদ্র = ধনী-দরিদ্র।
সাদা ও কালো = সাদাকালো।
ন্যায় ও অন্যায় = ন্যায় ও অন্যায়।
ছোট ও বড় = ছোটবড়।
সত্য ও মিথ্যা = সত্যমিথ্যা।
ঠান্ডা ও গরম = ঠান্ডাগরম।
লাল ও নীল = লালনীল।
সহজ ও সরল = সহজ সরল।
(ঘ) দুই ক্রিয়াপদের দ্বন্দ্ব
হেসে ও খেলে = হেসেখেলে।
(ঘ) দুই ক্রিয়াপদের দ্বন্দ্ব
হেসে ও খেলে = হেসেখেলে।
হেসে ও কেঁদে = হেসেকেঁদ।
হার ও জিত = হারজিত।
চলা ও ফেরা = চলাফেরা।
নাচ ও গান = নাচ-গান।
পড়ি ও মরি = পড়িমরি।
(ঙ) সমার্থক দ্বন্দ্ব
শাক ও সবজি = শাকসবজি,
(ঙ) সমার্থক দ্বন্দ্ব
শাক ও সবজি = শাকসবজি,
অন্য ও অন্য অন্যান্য,
মাথা ও মুণ্ডু = মাথামুণ্ডু,
মাথা ও মুণ্ডু = মাথামুণ্ডু,
ছেলে ও ছোকরা = ছেলেছোকরা,
মামলা ও মোকাদ্দমা = মামলা-মোকদ্দমা ,
চালাক ও চতুর = চালাকচতুর,
মায়া ও মমতা = মায়ামমতা,
চিঠি ও পত্র = চিঠিপত্র,
কাজ ও কর্ম = কাজকর্ম ,
গা ও গতর = গা- গতর।
(চ) বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
সুর ও অসুর = সুরাসুর,
(চ) বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
সুর ও অসুর = সুরাসুর,
পাপ ও পূর্ণ = পাপ পুণ্য।
এখানে উত্তরপদে অর্থেই প্রধান । দ্বিগু সমাস দুই প্রকার: (ক) তদ্ধিতার্থক ও (খ) সমাহার দ্বিগু সমাস ।
(ক) তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস
দ্বি গো-র বিনিময়ে কেনা = দ্বিগু ,
দ্বিগু সমাস
যে সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং উত্তর পদ বিশেষ্য এবং সমাসবদ্ধ পদের সমাহার বোঝায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে ।এখানে উত্তরপদে অর্থেই প্রধান । দ্বিগু সমাস দুই প্রকার: (ক) তদ্ধিতার্থক ও (খ) সমাহার দ্বিগু সমাস ।
(ক) তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস
দ্বি গো-র বিনিময়ে কেনা = দ্বিগু ,
তিন কড়ি মূল্যে ক্রীত = সাতকড়ি,
পাঁচ কড় মূল্যে ক্রীত= পাঁচকড়ি,
তিন কড়ি মূল্যে ক্রীত = তিন কড়ি,
ষট্(ছয়) মাতার পুত্র =ষাণ্মাতুর ।
এদের তদ্ধিতার্থক দ্বিগু বলে।
(খ) সমাহার দ্বিগু সমাস
নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন ,
(খ) সমাহার দ্বিগু সমাস
নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন ,
ত্রিভুবনের সমাহার = ত্রিভুবন,
পাঁচ মাথার মিলন = পাঁচমাথা,
পাঁচ ফোড়নের সমাহার = পাঁচফোড়ন,
চৌরাস্তার মিলন = চৌরাস্তা ,
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি,
শতবর্ষের সমষ্টি = শতবার্ষিকী ,
সপ্ত অহের সমাহার = সপ্তাহ,
পঞ্চ নদের সমাহার = পঞ্চনদ।
** দ্বিগু সমাসে কোথাও কোথাও পরপদে ‘আ’ বা ‘ঈ’ যুক্ত হয় । যেমন: শতাব্দী, ত্রিপদী, চতুর্দশী, ত্রিফলা।
যে সমাসে সমস্যমান পদ গুলো নিত্য অর্থাৎ সর্বদাই সমাসবদ্ধ থাকে, তাকে নিত্য সমাস বলে। তাই এর কোন ব্যাসবাক্য হয় না। এতে স্বপদে অর্থাৎ সমাসের নিজের পদ ব্যবহৃত হয় না বলে এর অন্য নাম অ-স্বপদবিগ্রহ নিত্য সমাস। নিত্য সমাস স্বতন্ত্র সমাস নয় ; ব্যাসবাক্যহীন যে-কোন সমাসকেই নিত্য সমাস বলা যায়। এই সমাসের ব্যাসবাক্য তৈরি করতে হলে অন্য কোন পদের প্রয়োজন হয়।
ব্যাসবাক্য হয় না: কাঁচা কলা কাঁচকলা, কৃষ্ণ সর্প = কৃষ্ণসর্প।
ব্যাসবাক্যে অন্যপদ: অন্য দেশ = দেশান্তর , অন্য মত = মতান্তর, অন্য জন্ম = জন্মান্তর , অন্য মনু = মন্বন্তর, অন্য দৃশ্য = দৃশ্যান্তর ,অন্য যুগ = যুগান্তর, অন্য হস্ত = হস্তান্তর, কেবল ভাবা = ভাবামাত্র।
কেবল কণিকা = কণিকা, কেবল জল = জলমাত্র, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, কেবল ঘোরা = ঘোরাঘুরি, কেবল দেখা = দেখামাত্র, কেবল নাম = নামমাত্র, কেবল ভিক্ষা = ভিক্ষামাত্র ,কেবল কাল = কালমাত্র।
** দ্বিগু সমাসে কোথাও কোথাও পরপদে ‘আ’ বা ‘ঈ’ যুক্ত হয় । যেমন: শতাব্দী, ত্রিপদী, চতুর্দশী, ত্রিফলা।
নিত্য সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদ গুলো নিত্য অর্থাৎ সর্বদাই সমাসবদ্ধ থাকে, তাকে নিত্য সমাস বলে। তাই এর কোন ব্যাসবাক্য হয় না। এতে স্বপদে অর্থাৎ সমাসের নিজের পদ ব্যবহৃত হয় না বলে এর অন্য নাম অ-স্বপদবিগ্রহ নিত্য সমাস। নিত্য সমাস স্বতন্ত্র সমাস নয় ; ব্যাসবাক্যহীন যে-কোন সমাসকেই নিত্য সমাস বলা যায়। এই সমাসের ব্যাসবাক্য তৈরি করতে হলে অন্য কোন পদের প্রয়োজন হয়।
ব্যাসবাক্য হয় না: কাঁচা কলা কাঁচকলা, কৃষ্ণ সর্প = কৃষ্ণসর্প।
ব্যাসবাক্যে অন্যপদ: অন্য দেশ = দেশান্তর , অন্য মত = মতান্তর, অন্য জন্ম = জন্মান্তর , অন্য মনু = মন্বন্তর, অন্য দৃশ্য = দৃশ্যান্তর ,অন্য যুগ = যুগান্তর, অন্য হস্ত = হস্তান্তর, কেবল ভাবা = ভাবামাত্র।
কেবল কণিকা = কণিকা, কেবল জল = জলমাত্র, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, কেবল ঘোরা = ঘোরাঘুরি, কেবল দেখা = দেখামাত্র, কেবল নাম = নামমাত্র, কেবল ভিক্ষা = ভিক্ষামাত্র ,কেবল কাল = কালমাত্র।