Header Ads

খেয়া | Kheya | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | নবম শ্রেণির সাহিত্য সঞ্চয়ণ


খেয়া 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


খেয়া’ কবিতাটি থেকে SLST,Bengali পরীক্ষার জন্য সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তরঃ

১. কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে 'খেয়া কবিতাটি গৃহীত ?

উঃ— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় পর্বের কাব্য 'চৈতালি' থেকে পাঠ্য ‘খেয়া' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে। এটির প্রকাশকাল ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দ।

২. ‘খেয়া' শব্দের আভিধানিক অর্থ কী ?

উঃ—'খেয়া' শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল 'নদী পারাপারের নৌকা’ অথবা ‘নৌকা বা অন্য জলযানের দ্বারা নদী বা খাল পারাপার ।

৩. ‘খেয়া’ কোন জাতীয় শব্দ ?

উঃ— ‘খেয়া’ একটি বিশেষ্যপদ; শব্দভাণ্ডারে দেশি শব্দের অন্তর্ভুক্ত এটি।

৪. ‘খেয়া' কবিতায় কটি পঙতি আছে?

উঃ— চতুর্দশ পক্তির সমন্বয়ে নির্মিত ‘খেয়া’ কবিতায় দুটি স্পষ্টভাগ আছে। প্রথমটি আট পঙতি, দ্বিতীয়টি ছয় পঙতির।

৫. খেয়ায় করে যাত্রীরা কোথায় যায় ?

উঃ— ‘খেয়া' কবিতার যাত্রীরা খেয়া করে নদী পারাপার করে। তারা কেউ নিজেদের ঘর থেকে নৌকায় আসে, আবার কেউ আপন ঘরে ফিরে যায়।

৬. ‘জানাশোনা' শব্দের মাধ্যমে কী বলা হয়েছে?

উঃ— নদীর দুই তীরে অবস্থিত গ্রাম দুটি যে গভীর সম্বন্ধের বন্ধনে বাঁধা, সে সম্পর্ক বহুকালের। তা বোঝাতে কবি ‘জানাশোনা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

৭. কবিতায় বর্ণিত নদীতটে কী আছে ?

উঃ— কবিতায় বর্ণিত নদীর দুই তীরে বহুকালের চেনাজানা দুটি গ্রাম বিরাজ করছে।

৮. দুই গ্রামে কারা আনাগোনা করে ?

উঃ— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘খেয়া' কবিতায় বর্ণিত নদী তীরবর্তী নাম না জানা দুটি গ্রামের মধ্যবর্তী নদীতে ‘খেয়া' সকাল থেকে সন্ধে নিরন্তর আনাগোনা করে দুই পারের মানুষদের নিয়ে।

৯. গ্রাম দুটির সম্পর্ক কীরূপ ?

উঃ— গভীর পরিচয়ের বন্ধনে বাঁধা গ্রাম দুটি একই সূত্রে গাঁথা, সেখানে সকাল-সন্ধ্যা একই সময়ে 'আনাগোনা' করে।

১০. পৃথিবীতে কখন সর্বনাশ নেমে আসে ?

উঃ— হিংসায় উন্মত্ত হয়ে, ক্রোধে অন্ধ হয়ে, প্রলোভনে মত্ত হয়ে দিগ্বিদিক শূন্য মানুষ একে অপরের রক্তপাতে ভয়ংকর সর্বনাশ ডেকে আনে।

১১. পৃথিবীতে কবি কী ঘটতে দেখেছেন ?

উঃ— দৃষ্টি সুদূরে প্রসারিত করে মনশ্চক্ষে কবি পৃথিবীতে ঘটতে দেখেছেন যুগে যুগে কালে কালে বহু দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সর্বনাশের ঘটনাধারা।

১২. কোন্ ইতিহাসের কথা কবি কবিতায় বলতে চেয়েছেন?

উঃ— হিংসা-দ্বন্দ্ব-রাগ-রক্তে ভেজা ইতিহাসকে ‘খেয়া’ কবিতায় কবি মানবতার পরিপন্থী বলে বিবেচনা করেছেন।

১৩. কী নিয়ে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ইতিহাস ?

উঃ—দেশে দেশে দ্বন্দ্ব, সোনার মুকুটের লড়াই, বহু মানুষের সর্বনাশের বিনিময়ে রক্তাক্ত ইতিহাসের নতুন নতুন অধ্যায় গড়ে উঠেছে।

১৪। রক্তপ্রবাহে কবি কী দেখেছেন ?

উঃ— ফেনিয়ে ওঠা রক্তপ্রবাহে কবি হিংসায় উন্মত্ত রাজশক্তির রক্তচক্ষুকে খুঁজে পেয়েছেন।

১৫. 'সোনার মুকুট' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? 

উঃ- বহু রক্ত-বেদনা আর মূল্যবান জীবনের বিনিময়ে রাজশক্তির সাফল্যকে কবি 'সোনার মুকুট' বলে বুঝিয়েছেন।

১৬. ‘ফুটে আর টুটে' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উঃ— সুদূর অতীতে দৃষ্টি প্রসারিত করে কবি দেখেছেন রাষ্ট্রনায়কেরা কখনও বিজয়ী হয়েছে, আবার তার অহংকার কিছুকাল পরেই চূর্ণ হয়ে গেছে—জয়পরাজয়ের এই ক্ষণস্থায়িত্বকে বোঝাতে কবি ‘ফুটে আর টুটে' শব্দ দুটি প্রয়োগ করলেন।

 ১৭. সভ্যতার 'তৃষ্ণা ক্ষুধা' কী ?

উঃ— সভ্যতার তৃয়া ক্ষুধা' বলতে কবি তথাকথিত বিত্তশালী মানুষের লোভ, ভোগ, বস্তুগত সম্পদের প্রাণহীন সংগ্রহকে বুঝিয়েছেন। 

১৮. কবি 'ক্ষুধা' কথাটি কেন ব্যবহার করেছেন?

উঃ— কবি সভ্যতার বিত্তশালী মানুষের অপরিমেয় লোভের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তাদের 'লোভ'কে ক্ষুধার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১৯. হলাহল' শব্দের অর্থ কী ?

উঃ— ‘হলাহল' শব্দের আভিধানিক অর্থ হল দেবাসুর কর্তৃক সমুদ্র মন্থনে উত্থিত তীব্র বিষ, কালকূট।

২০. হলাহল কোথা থেকে ওঠে?

উঃ— দেবাসুর কর্তৃক সমুদ্রমন্থনে উত্থিত বিষ হল হলাহল, কবি কবিতায় 'হলাহল' বলতে মানুষের হিংসা-দ্বেষকে বুঝিয়েছেন। ‘হলাহল' হল এ সভ্যতার এক নেতিবাচক দান।

২১. সুধা কী ?

উঃ— পৌরাণিক অনুষঙ্গে প্রাপ্ত ‘সুধা' শব্দের অর্থ হল অমৃত, যা পান করে দেবকুল অমরত্ব লাভ করে ছিল।

 ২২. সুধা আসে কোথা থেকে ?

উঃ— অমৃতলোক থেকে আসে সুধা, যা পান করে দেবতারা অমরত্ব লাভ করেছেন। শত বাধার মধ্যেও মানুষ যে প্রেরণায় বেঁচে আছে তা সুধাসম, তা সভ্যতারই দান।

২৩. হলাহল, সুধার উল্লেখ কবি কেন করলেন ?

উঃ— মানবসভ্যতার ধ্বংস আর সৃষ্টিকে, পতন আর উত্থানকে বোঝাতে কবি প্রশ্নোক্ত শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন। কবি যেমন মানবতার স্খলন দেখেছেন, তেমনই তার বিজয়ী হয়ে ওঠার প্রেরণায় আপ্লুতও হয়েছেন বারবার।

২৪. ‘কেবা জানে নাম'—কাদের নামের কথা বলা হয়েছে ?

 উঃ— নদীর দুইতটে বহুকালের চেনাজানা মুখোমুখি অবস্থিত দুটি গ্রামের কথা ‘খেয়া' কবিতায় বলা হয়েছে।

২৫. কাদের নাম অজানা থেকে যায় ?

উঃ— সভ্যতার স্বাভাবিক গতি নিয়ে এগিয়ে চলা গ্রাম দুটি বহির্জগতের কাছে অজানা থেকে যায়। গ্রাম দুখানি বিরাজ করে শান্ত নদীর দুই তীরে। এখানে উন্মাদনার ঢেউ আসে না।

২৬. 'দোঁহা-পানে বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

উঃ— নদীতীরের গ্রাম দুখানি যুগযুগান্তর ধরে পরস্পরের দিকে মমতাময়ী দৃষ্টিপাতে চেয়ে আছে। এখানে 'দোঁহা-পানে' বলতে তাই বোঝানো হয়েছে।

 ২৭. গ্রাম দুটি কীভাবে অবস্থান করছে ?

উঃ— বহুযুগের সাক্ষী হয়ে গ্রাম দুটি নদীর দুই বিপরীত তীরে বিরাজ করছে। সমৃদ্ধ জনপদের অস্তিত্বকে মানবসভ্যতা গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছে।

২৮. দুটি গ্রাম কেন চেয়ে আছে ?

 উঃ— গভীর সম্পর্কের বন্ধনে বাঁধা বলে গ্রাম দুটি অপলক দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে চেয়ে আছে। যেমন জীবন চেয়ে থাকে মরণের দিকে কিংবা মরণ জীবনের দিকে।

২৯. গ্রাম দুটির পরস্পরের দিকে চেয়ে থাকার অর্থ কী ? 

উঃ— মানবতার প্রকৃত ধারক তথা আধার গ্রাম দুটি যেন উন্মত্ত সভ্যতা থেকে বহু দূরে নীরবে বিরাজ করছে, মানবসভ্যতার মূল সুরটিকে তারা বহন করে চলেছে।

৩০. কবিতায় উল্লিখিত খেয়া কতদিন চলে ?

 উঃ- কবিতায় উল্লিখিত খেয়া নৌকার পারাপার চলে চিরদিন, নদীর এপার থেকে ওপারে সে সেতুবন্ধনের কাজ করে যায় চিরকাল।

৩১. খেয়ার চলন কীরূপ ?

উঃ— দুই গ্রাম সংলগ্ন দুই তীরের মাঝে খেয়া পারাপার করে। জীবনমৃত্যুর এপার-ওপারে এভাবেই খেয়া নিয়ে যায়।

৩২. যাত্রীরা কীসের জন্য খেয়ায় ওঠে ?

উঃ— নদীর দুই তীরে অবস্থিত গ্রাম দুটির মানুষ কেউ ঘরে ফেরে, কেউ বা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়।

৩৩. ঘরে কারা ফেরে ?

উঃ— নদীর দুই তীরের গ্রাম দুখানি থেকে যাত্রীরা আসে নদী পারাপারের জন্য। খেয়া নৌকায় তাদের কেউ কেউ আপন ঘরে ফেরে।

৩৪. অন্য যাত্রীরা কী করে ?

উঃ— খেয়া নৌকার অন্য যাত্রীরা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র পাড়ি দেয়। তাদের যাত্রা ‘ঘর হতে বাহিরে', অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে।

৩৫. ‘খেয়া' কবিতার শেষ পঙ্ক্তিতে কবি কী বলেছেন ?

উঃ— 'খেয়া' কবিতার শেষ পঙ্ক্তিতে কবি বিষণ্ণ অথচ আশান্বিত। মানবের নিত্য ও নিশ্চিত জীবনপ্রবাহ ধারাকে তিনি নদীস্রোতের সঙ্গে তুলনা করেছেন।



আরো পরুন 

Coming Soon 



No comments

Powered by Blogger.