বাংলা ভাষার জন্ম
প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয়দের আদি বাসভূমি ছিল মধ্য ইউরোপে। ৩০০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে ইন্দোইউরোপীয় জাতি ইউরেসিয়ার তাদের ভূখণ্ড এই ভাষার সৃষ্টি করেছিল বলে অনুমান করা হয়। ক্রমশ এই জাতির লোকেরা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন উপভাষার সৃষ্টি করে।
প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয়—(১) কেন্তুম গুচ্ছ, (২) সতম গুচ্ছ
(১) কেন্তুম গুচ্ছ : গ্রীক, তুখারীয়, জার্মানিক, ইতালিক, ক্লেতিক, হিটি। (২) সতম গুচ্ছ: আর্মেনীয়, আলবানীয়, বালতো স্নাবিক, ইন্দোইরানীয়।
ইন্দো-ইরানীয় ভাষাবংশ
ভারতীয় ও ইরানীয় ভাষার প্রাচীন নিদর্শন গুলোকে কেন্দ্র করে এই ভাষাগুলো গোষ্ঠীবদ্ধ করা হয়েছে। এই ভাষাবংশকে আর্য ভাষা বলে। আর্যরা ভারতে আসার আগে এই ভাষা বংশ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
ইন্দো-ইরানীয় (আর্য) : (১) ইরানীয় আর্য, (২) দরদিক আর্য (৩) ভারতীয় আর্য
ইরানীয় আর্য : পারসী, আবেস্তীয়, সিদীয়, পূর্ব-ইরানীয়।
ভারতীয় আর্য ভাষাবংশ
খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে এই ভাষার সৃষ্টি হয়। এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল বেদ।
ভারতীয় আর্যভাষা : (১) কথ্য উপভাষা (খ্রি.পূর্ব,১২০০-৭০০) (২) সংস্কৃত (খ্রি. পূর্ব পঞ্চম শতক)
অনেকে বলেন সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জননী। সংস্কৃতের সঙ্গে বাংলার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে তাঁরা এই ধরণের সিদ্ধান্ত করে থাকেন। কিন্তু সংস্কৃত কখনও কথ্য ভাষা ছিল না। অপরদিকে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক কথ্যভাষার। মহম্মদশাহীদুল্লাহ বলেছেন, গৌড়ীয় অপভ্রংশ থেকে বাংলা জন্মগ্রহণ করেছে, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'মাগধী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। আমরাও বিশ্বাস করি 'মাগধী অপভ্রংশই বাংলা ভাষার জননী সংস্কৃত নয়।
ভারতীয় আর্যভাষা— (১) কথ্য উপভাষা, (২) সংস্কৃত
কথ্য উপভাষা : উদীচ্য, প্রতীচ্য, মধ্যদেশীয়, প্রাচ্য, দক্ষিণাত্য।
প্রাচ্য : অর্ধমাগধী, মাগধী।
মাগধী : মাগধী অপভ্রংশ
মাগধী অপভ্রংশ : ভোজপুরিয়া, মোগহী, মৈথিলী, ওড়িয়া, বঙ্গ-অসমিয়া ।
বঙ্গ অসমিয়া : বাংলা, অসমিয়া।
THANKS
0 Comments
Post a Comment